কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
সূত্রের দাবি, পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সর্বোচ্চ গ্র্যাচুইটির পরিমাণ আড়াই লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ লক্ষ টাকা করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। এতদিন অবসরপ্রাপ্তরাও সেই হিসেবেই গ্র্যাচুইটির টাকা পেতেন। তবে ১ জানুয়ারি ২০১৬-র পর থেকে অবসর নেওয়া কর্মীদের জন্য বাড়তি লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, ধরা যাক, কোনও কর্মী ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর নিয়েছেন। সমস্ত হিসেব করে ৫ লক্ষ টাকা গ্র্যাচুইটি মিলেছে। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্মীর গ্র্যাচুইটি বাবদ পাওনা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে সরকার বকেয়া ৩ লক্ষ টাকা ওই অবসরপ্রাপ্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে। এখানেই শেষ নয়। নয়া বেতন কমিশন কার্যকর হলে অবসরপ্রাপ্তরাও মূল পেনশনের উপর ইনক্রিমেন্ট পাবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধরা যাক, কোনও সরকারি কর্মী চলতি সেপ্টেম্বর মাসে অবসর নিতে চলেছেন। সেক্ষেত্রে তিনি মোট চারটি ইনক্রিমেন্ট পেতে পারেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯, এই চার বছরের প্রতি জুলাই মাসে ৩ শতাংশ হারে মূল পেনশনের উপর মোট ১২ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পাবেন ওই অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।
অর্থ দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে কর্মীদের বেতন কাঠামোয় একাধিক পরিবর্তন আসতে চলেছে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পেনশনারদের ক্ষেত্রেও একই রকম নয়া পেনশন কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। কর্মরতদের মতো পেনশনারদেরও পেনশন বিন্যাসের জন্য ‘ম্যাট্রিক্স’ (টেবিল) তৈরি করা হচ্ছে। প্রস্তাব অনুসারে, কোনও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর মূল পেনশনের সঙ্গে ২.৫৭ গুণ করলেই বর্ধিত মূল পেনশন চলে আসবে। ধরা যাক, সব হিসেব করে কোনও কর্মীর বর্ধিত মূল পেনশন ৫৪ হাজার টাকা হয়েছে। যদিও দেখা যাচ্ছে, ম্যাট্রিক্স-এর ‘সেল’ (ঘর)-এ এই ৫৪ হাজারের সীমা নেই। সেখানে রয়েছে ৫৪ হাজার ৮০০। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মীর মূল পেনশন দাঁড়াবে ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা। মোদি সরকার সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার পর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম পেনশন হয়েছে ৯ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে বিপুল আর্থিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সুপারিশ কার্যকর করলে ন্যূনতম পেনশন হবে কিন্তু কেন্দ্রের থেকে মাত্র ৫০০ টাকা কম।