কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
এনবিএ স্বীকৃতি না থাকলে কোনও কোর্সকে গণ্য করা হবে না বলে জানিয়েছিল অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন। সেই মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে চাপও দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে যে হাতে গোনা প্রতিষ্ঠানের কোর্সের এই স্বীকৃতি আছে, তার অধিকাংশই বেসরকারি কলেজের। যাদবপুর কিংবা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কোর্স অবশ্য সেই তালিকা নেই। তালিকা অনুযায়ী, কোনও কলেজে চারটি, কোথাও আবার দু’টি করে কোর্স এনবিএ স্বীকৃত। এমনও কলেজ আছে, যেখানে একটি করে কোর্স অনুমোদিত রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি কোর্সের অনুমোদনের মেয়াদ জুন মাসেই শেষ হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি কলেজের কোর্স স্বীকৃত রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (১৪)। তারপরে রয়েছে কলকাতা (৭)। বর্ধমানের পাঁচটি এবং উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি করে কোর্স এনবিএ স্বীকৃত বলে কাউন্সিল জানিয়েছে।
তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র কিংবা কর্ণাটকে এনবিএ স্বীকৃত কোর্সের সংখ্যা এ রাজ্যের থেকে অনেকটাই বেশি। কাউন্সিলের নয়া ফতোয়া অনুযায়ী, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ছ’হাজার কলেজকে এই স্বীকৃতি নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতেই হবে। তা না হলে, সংশ্লিষ্ট কোর্স চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রধানত, শিক্ষার মান আরও উন্নত করতেই এই কড়াকড়ি করছে কেন্দ্র। যে সব কোর্সের চাহিদা নেই বা তার চাকরির সুযোগ কম, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্র। দেশ-বিদেশের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিতে কলেজগুলির উপর এই চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলেই মনে করছে শিক্ষামহল। তবে এই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কাউন্সিলের তরফে সাহায্যও করা হবে বলে জানিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কলেজগুলি শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করে, তার দিকেই চেয়ে রয়েছে শিক্ষামহল।