কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
রাইস মিল মালিকদের সংগঠনও ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে। তবে সংগঠন চাইছে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি কিছুটা কমানো হোক। বিশেষ করে ছোট রাইস মিল, যেগুলি কম পরিমাণে সরকারি ধান নিয়ে চাল উৎপাদন করে, তাদের কিছুটা ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, ৫ হাজার টনের কম সরকারি ধান ভানানোর কাজ করে এমন রাইস মিলগুলির কাছে ২৫ লক্ষ টাকার পোস্ট ডেটেড চেক নেওয়ার জন্য তাঁরা অনুরোধ করেছেন। এতে ছোট মিলগুলির উপর চাপ কমবে। কারণ ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি নিতে গেলে সম পরিমাণ অর্থ ফিক্সড ডিপোজিট করতে হয়। ৫ হাজার টনের বেশি পরিমাণে ধান ভাননোর কাজ করে এমন রাইস মিলগুলির কাছ থেকে যে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি নেওয়া হবে, তা কিছুটা কমাতে বলেছে সংগঠন।
কয়েকটি রাইস মিলের কাছ থেকে চার-পাঁচ বছরের বকেয়া চাল উদ্ধারের জন্য খাদ্য দপ্তরকে সক্রিয় হতে হয়েছে। চাল না দেওয়ার জন্য রাইস মিলকে কালো তালিকাভুক্ত করা, পুলিসে এফআইআর, সিআইডি তদন্ত, রাইস মিল মালিকের গ্রেপ্তারের ঘটনাও একাধিক হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাল না পেলে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে খাদ্য দপ্তরের। ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি নিয়ে ভবিষ্যতে এই ক্ষতির থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে খাদ্য দপ্তর।
চলতি খরিফ মরশুম এখন শেষ পর্যায়ে। খাদ্য দপ্তর সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মোট ৬৪৪টি রাইস মিলের মধ্যে মাত্র ২০৭টির কাছ থেকে কোনও চাল বকেয়া নেই। বাকি রাইস মিলগুলির কাছ থেকে কিছুটা বকেয়া আছে। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের অবশ্য বক্তব্য, এখনও হাতে সময় আছে। পুরো চাল সরকারের ঘরে নিতে গেলে গোডাউনে তা রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তাই কিছুটা দেরি হলে একদিকে ভালো। তবে সরকারকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা হলে বরদাস্ত করা হবে না। চলতি খরিফ মরশুমে সরকারের কাছে চাল জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র।