উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বর্ষা কবে আসছে, তা নিয়ে আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। তাছাড়া আমার কাছে নানা জায়গা থেকে আবেদন এসেছে। স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর যে বাড়তি ছুটি আছে, তা নিয়ে রিভিউ করতে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো আমরা সব খতিয়ে দেখব।
এদিকে, ভোট মিটতেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট কাটাতে উদ্যোগী শিক্ষা দপ্তর। এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশন সহ অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন পার্থবাবু। পরে তিনি বলেন, ২০ জুনের মধ্যে যে সব নিয়োগ সংক্রান্ত বকেয়া কাজ রয়েছে, তা শেষ করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ নিয়ে যে সব মামলা এখনও কোর্টে রয়েছে, তা যাতে বাইরে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া যায়, তার জন্য এসএসসি’কে দেখতে বলা হয়েছে। আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র তুলে দিতে চাই।
উচ্চ প্রাথমিকের তিন ধাপের ইন্টারভিউ বাকি রয়েছে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু হলেও, পরে কোর্ট কেসে তা আটকে গিয়েছে। কোর্ট খুললে সেখানে এ নিয়ে আবেদন করা হবে। কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষার মেধা তালিকা প্রকাশেরও নির্দেশ দিয়েছি। কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না বলে কমিশনকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দপ্তর সূত্রে খবর, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে ফের নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে উদ্যোগী হবে সরকার। এদিন যে তৎপরতা দেখা গেল, তা যদি মন্ত্রী আরও আগে দেখাতেন, তাহলে এতদিন অনেক নিয়োগই সম্পন্ন হতো, এমনই মত শিক্ষামহলের। তাদের বক্তব্য, ভোটের ফলাফলে যেভাবে ধাক্কা খেয়েছে এই সরকার, তাতে আগামী ভোটের আগে যে সব ক্ষেত্রে মানুষের ক্ষোভ ছিল, সেগুলি মেরামত করে তাদের মন জয় করতে মরিয়া রাজ্য সরকার। ভোটের অন্যতম ইস্যুই ছিল নিয়োগ বন্ধ। তাই আচরণবিধি ওঠার পরপরই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট কাটাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। বদলির প্রক্রিয়াও শুরু হবে বলে এদিন ঘোষণা করেন পার্থবাবু। আপস বদলি, বিশেষ কারণে বদলি এবং প্রশাসনিক বদলি চালু হচ্ছে। এই তিনটি মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার আবেদন পড়েছিল। সেগুলি সব ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মনীষীর মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন পার্থবাবু বলেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের একটি মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে কলেজ স্কোয়ার পার্কে কাজী নজরুল ইসলামেরও একটি মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কলেজ স্ট্রিটে রামমোহন রায়ের একটি মূর্তি বসানো হবে। তার সঙ্গে বিদ্যাসাগর কলেজের বাইরে বিদ্যাসাগরের পূর্ণাবয়ব মূর্তির সঙ্গে ভিতরে যেখানে আবক্ষ মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেখানেও নতুন মূর্তি বসানো হবে। তার সঙ্গে কলেজে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার মুখেও যাতে বিদ্যাসাগরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো যায়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নেওয়া হবে।