উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
রাজ্যের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের এজেন্টদের বক্তব্য, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকের মর্যাদা পাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু সামাজিক প্রকল্পের সুফল পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার সামাজিক পরিচয়পত্র। তা দেওয়ার কথা রাজ্যেরই। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে এই বিষয়ে বারবার দরবার করেও কোনও সুফল মেলেনি, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস। তিনি বলেন, আমাদের পরিচয়পত্র ও সামাজিক প্রকল্পের বিষয়ে এগিয়ে আসার কথা যে রাজ্যেরই, সেকথা আমাদের জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্মলবাবুর কথায়, এই বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত দরবার করি। সেখান থেকে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়, বিষয়টি ন্যাশনাল সেভিংস ইনস্টিটিউটকে দেখতে বলা হয়েছে। স্বল্প সঞ্চয়ের বিষয়ে মূল চালিকাশক্তি ওই ইনস্টিউট। তারা জানায়, আমাদের দাবিগুলি ন্যায্য এবং আমরা তা পাওয়ার যোগ্য। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যাতে এই বিষয়ে এগিয়ে আসে এবং সেই কাজে হাত দেয়, তা তাদের বলা হবে বলে জানায় ইনস্টিটিউট। কিন্তু আর কিছুই এগয়নি। ওই পরিচয়পত্র দিতে যে খরচ করতে হবে, তাও বহন করতে রাজি এজেন্টরা। তবু কেন রাজ্য বিষয়টি নিয়ে গা করছে না, তা ফের সরকারের কাছে জানতে চাইবেন তাঁরা, বলছেন নির্মলবাবু। আগামী আগামী ১ জুন মৌলালি যুবকেন্দ্রে চতুর্থ দ্বিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলনের আয়োজন করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে ন্যাশনাল সেভিংস ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক অধিকর্তার উপস্থিত থাকার কথা। সম্মেলনে ওই প্রসঙ্গ সামনে আনা হবে বলে জানিয়েছেন নির্মলবাবুরা।
সচিত্র পরিচয়পত্রের বিষয়ে রাজ্য সরকার যে গোড়া থেকেই উদ্যোগ নেয়নি, তা নয়, বলছেন এজেন্টরা। চিটফান্ড আটকাতে রাজ্য সরকার চালু করেছিল সেফ সেভিংস স্কিম। টাকা জমা রাখার ওই স্কিমটি জনপ্রিয় করতে এজেন্টদের উপর ভরসা রেখেছিল রাজ্য। যাঁরা পোস্ট অফিসে স্বল্প সঞ্চয়ের কাজে যুক্ত আছেন, তাঁরা যাতে রাজ্যের ওই স্কিমটিরও বিপণনে এগিয়ে আসেন, তার জন্য কমিশন প্রথাও শুরু করেছিল রাজ্য। তখনই এজেন্টদের বলা হয়েছিল, তাঁদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হবে, এমনটাই দাবি এজেন্টদের। কিন্তু স্কিমটি কয়েক বছর চালানোর পর, তা বন্ধ করে দেওয়ায় রাজ্য সরকার আর ওই পরিচয়পত্র নিয়ে মাথা ঘামায়নি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের দাবি, সচিত্র পরিচয়পত্রটি যে দরকারি, তা সেফ সেভিংস স্কিম চালু করার সময় মেনে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এখন তারা চুপ। এজেন্টদের অভিযোগ, স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে যেভাবে সুদের হার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তাতে সাধারণ মানুষের এই প্রকল্পগুলির উপর থেকে আগ্রহ কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি এজেন্ট কমিশনও কমিয়ে বা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় কেন্দ্র যাতে ফের বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে এজেন্টরা।