উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য সম্প্রতি শুভ্রাংশুকে দল থেকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল তৃণমূল। তারপরই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে তুমুল জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। গতকাল রাতেই সংশ্লিষ্ট সব পুরসভার কাউন্সিলারদের সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে এসেছিলেন শুভ্রাংশু রায়। শুভ্রাংশুকে দলে যোগদান করিয়ে এদিন মুকুলবাবু বলেন, ‘ছেলে থাকবে তৃণমূলে, কিন্তু ভোট করাবে বিজেপির। এটাই আমাদের নির্বাচনী রণকৌশল ছিল।’ মুকুলবাবুর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও শুভ্রাংশু বলেন, ‘আমি যে দলে থাকব, সেই দলের অনুগত সৈনিক হয়েই কাজ করব। বাস্তবকে মেনে না নিলে বর্তমান পরিস্থিতিকেই অস্বীকার করা হবে।’ তিনজন বিধায়ক এবং উল্লিখিত তিন পুরসভার কাউন্সিলরদের বিজেপিতে যোগদান করিয়ে দলের অন্যতম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘বাংলাতে যেমন সাতটি দফায় লোকসভা নির্বাচন হয়েছে, তেমনই সাত পর্যায়ে তৃণমূল এবং অন্য দল থেকে লোকজন বিজেপিতে যোগ দেবেন। আগামী ১ জুন থেকেই এর প্রভাব দেখতে পারবেন আপনারা।’
এদিন বিশেষ করে কাঁচরাপাড়া পুরসভার বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউন্সিলারদের সংখ্যা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এদিন দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়রা দাবি করেছেন, কাঁচরাপাড়া পুরসভার মোট ২৪টি আসনের মধ্যে ১৭ জন কাউন্সিলারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ওই পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানও রয়েছেন। হালিশহর পুরসভার মোট ২৩টি আসনের মধ্যে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৭ জন যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর নৈহাটির ২৯ জন কাউন্সিলার যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এখানে মোট আসন ৩১টি। অথচ তৃণমূল থেকে পদত্যাগের পর কাঁচরাপাড়া পুরসভার পদত্যাগী কাউন্সিলাররা রাজ্যের পুরবিষয়ক দপ্তরের প্রধান সচিব, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, বারাকপুর সাব ডিভিশনের এসডিও এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানে স্বাক্ষর রয়েছে ১৬ জনের। বিজেপির দাবি মতো ১৭ জন নয়। পাশাপাশি কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানও বিজেপিতে যোগ দেননি বলে দাবি করেছে শাসক দল। এদিনের যোগদানের ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘জাহাজ যখন টলমল করে, তখন প্রথমে ইঁদুরেরাই জাহাজ ছেড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের লড়াই নীতি আদর্শের সঙ্গে। তবে বিজেপিতে ভালোবেসে যাচ্ছে, নাকি বন্দুকের নলের সামনে যাচ্ছে, তা দেখতে হবে।’