যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
ইউনিয়নবাজি রুখতে এই নির্দেশিকা গতবারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক কলেজ তা পুরোপুরি মানেনি। সেক্ষেত্রে শিক্ষাদপ্তরের তরফে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার দপ্তর আর কোনও টালবাহানা শুনতে রাজি নয়। তাই কেউ যাতে কোনও ওজর-আপত্তি তুলতে না পারে, তাই সশরীরে ডেকে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। শুধু তাই নয়, বৈঠক শেষে উচ্চশিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, কোনও ছাত্র ইউনিয়ন আর হেল্প ডেস্ক করতে পারবে না। যদি তা করতেই হয়, সেটা করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই হেল্প ডেস্কও হবে অনলাইনে। বেশ কিছু কলেজ প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে সরকারি মতামত জানতে চেয়েছিল। তাদের বলে দেওয়া হয়েছে, ভর্তি হবে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে। কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে না। যদিও, এটা আপাতত একক (ইউনিটারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এখনই কার্যকর হচ্ছে না। বৈঠকে উপস্থিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অনলাইন প্রক্রিয়ায় ভর্তির ক্ষেত্রে একটি আশঙ্কা করছেন অধ্যক্ষরা। বৈঠকে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, অফলাইনে টাকা জমা দিয়ে অ্যাডমিশনের সময় মার্কশিটে স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হয়। এতে বোঝা যায়, সংশ্লিষ্ট ছাত্র কোন কলেজে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চললে সেটা বোঝার উপায় থাকবে না। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই সমস্যার সমাধান আপনাদেরই করতে হবে। উপাচার্য এবং অধ্যক্ষরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি হলে কাউন্সেলিং চলার সময় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর উচ্চ মাধ্যমিকের রোল নম্বরের ভিত্তিতে এটা জানা সম্ভব। তিনি কোন কোন কলেজে ভর্তি হয়েছেন, তা সহজেই জানা যাবে। কিন্তু কলেজগুলি পৃথকভাবে ভর্তি নিলে তা জানা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে কোনও প্রার্থী একাধিক জায়গায় ভর্তি হয়ে থাকলে একেবারে শেষ মুহূর্তে কলেজগুলি তা জানতে পারবে। সেই ছাত্র বা ছাত্রী ভর্তি না হলে আসনটি ফাঁকাই রয়ে যাবে। কারণ ততদিনে ভর্তির চূড়ান্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাবে। রাজ্য সরকার যেখানে শূন্য আসনের সংখ্যা কমাতে চাইছে, সেই সময় এই পদ্ধতি কিছুটা স্রোতের বিপরীতেই নিয়ে যাবে।