যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
গণনা হবে চারটি পদ্ধতিতে। ১) প্রথম পোস্টাল ব্যালটের ভোট গণনা হবে। ২) এরপর গণনা করা হবে সার্ভিস ভোটারদের ভোট। তিনটি খামের ভিতরে থাকবে পোস্টাল ব্যালট। প্রথমে খোলা হবে বাইরের খাম, তারপরের খামের ভিতর থাকবে সার্ভিস ভোটারের ডিক্লেয়ারেশন এবং তৃতীয় খামে থাকবে পোস্টাল ব্যালট। এই খামের ভিতরে পোস্টাল ব্যালটের সঙ্গে থাকবে কিউআর কোড। এই কোড স্ক্যান করা হবে। যদি স্ক্যান মিলে যায়, তবেই এই ভোট গণনা করা হবে।
৩) এরপরই ইভিএমের ভোট গণনা করা হবে। ইভিএমের সঙ্গে থাকা কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসা হবে স্ট্রং রুম থেকে। গণনা কেন্দ্রে ১৪টি টেবিল থাকবে। ১৭ থেকে ২০ রাউন্ড গণনা হবে। এ ক্ষেত্রে যদি কোনও কন্ট্রোল ইউনিট বিগড়ে যায়, তখন তার ভিভিপ্যাটের গণনা করা হবে।
৪) কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা শেষ হয়ে গেলে শুরু হবে ভিভিপ্যাটের গণনা। লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে পাঁচটি করে ভিভিপ্যাট স্ট্রং রুম থেকে নিয়ে আসা হবে কাউন্টিং হলের ভিতরে। ভিভিপ্যাটের পেপার গণনা করে ইভিএমের সঙ্গে মেলাবেন গণনা কর্মীরা। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি রাউন্ডের গণনার পর সব রাজনৈতিক দলের এজেন্টের সই নিতে হবে। ‘নিউ সুবিধা’ অ্যাপে প্রতি রাউন্ডের গণনার পরে ফলাফল ডাউনলোড করতে হবে। ভিভিপ্যাটের গণনার জন্য এবার বেশি সময় লাগবে।
১৯৬১ সালের নির্বাচন কমিশনের ৫৬ ডি ধারা অনুযায়ী কোনও প্রার্থী বা তার এজেন্ট পুনর্গণনা চাইতে পারেন। রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে কারণ দর্শিয়ে আবেদন করতে হবে। রিটার্নিং অফিসার চাইলে তা গ্রাহ্য করতেও পারেন, আবার নাও করতে পারেন।
গণনা কেন্দ্রে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্ট্রং রুমে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্ট্রং রুমের লাগোয়া কাউন্টিং হলের ভিতর থাকবে আধা সেনা। একটি রাউন্ডের গণনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর রিটার্নিং অফিসার সেই ফলাফল যোগ করে একদিকে বোর্ডে লিখে দেবেন, অন্যদিকে বাইরে মাইকের সাহায্যে তা ঘোষণা করা হবে। ঘোষণা শেষ হওয়ার পরই দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য স্ট্রং রুম থেকে নতুন কন্ট্রোল ইউনিট আনা হবে কাউন্টিং হলের ভিতরে। কাউন্টিং হলের বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিসের সশস্ত্র বাহিনী। ১০০ মিটার দূরে থাকবেন পুলিস আধিকারিক ও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকরা। ওই চত্বরে কোনও গাড়ি চলাচল করবে না। গণনার দিন সকাল থেকে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। কোনও রকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সেদিকে কড়া নজর থাকছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের। তাদের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা যাবে না।