যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
যদিও সরকারের কাছে অস্বস্তির বিষয় হল, মুচলেকা দিয়ে তবেই ডায়মন্ডহারবারের সেই অনুমোদন আদায় করতে হবে। এমসিআই-এর চিঠিতেও সেকথাই বলা রয়েছে। অন্যদিকে বাকি চার মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন নিয়ে এখনও বেশ খানিকটা ঘাম ঝরানো বাকি রয়েছে দপ্তরের। এই চারটি- অর্থাৎ রায়গঞ্জ, কোচবিহার, রামপুরহাট এবং পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেওয়ার আগে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের দিল্লিতে গিয়ে দেখা করে মুচলেকা দিতে বলেছে এমসিআই। আজ, মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ রাজ্যের প্রতিনিধির সঙ্গে এমসিআই-এর কর্তাদের এই ইস্যুতে দেখা করার কথা। রাজ্য থেকে এ কাজে দিল্লি যাচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) ডাঃ প্রদীপ মিত্র। এদিন দপ্তর সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
প্রশ্ন হল, কেনই বা ডায়মন্ডহারবারের ক্ষেত্রে মুচলেকা পাঠিয়ে দিলেই অনুমোদনপত্র আসবে, আর কেনই বাকি চার কলেজের ক্ষেত্রে দিল্লিতে গিয়ে দেখা করে মুচলেকা দিতে হবে? দপ্তর সূত্রের খবর, নতুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চালুর ক্ষেত্রে এমসিআই অ্যাসেসরদের একাধিকবার পরিদর্শনের পর সেই রিপোর্ট দেখে নিজেদের খামতি অনেকটাই (৯০ শতাংশের বেশি) দূর করতে পারলে, সাধারণভাবে লিখিত মুচলেকা পাঠিয়ে দিলেই এলওপি মেলে। কিন্তু, সেই খামতি মেটানো যদি ৯০ শতাংশের কম হয়, তাহলে দিল্লিতে ডাক পড়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের।
প্রসঙ্গত, এই পাঁচ নতুন মেডিক্যাল কলেজ সরকারের কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেনতেনপ্রকারেন এই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকেই মেডিক্যাল কলেজগুলি চালু করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। কিন্তু, খামতি মেটানো আর ফের এমসিআই পরিদর্শন— এই পালাই চলছিল চক্রাকারে। প্রথম পরিদর্শন হয়েছিল ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যালে। আর শেষ পরিদর্শন হয় পুরুলিয়ায়। কিন্তু, ফাঁড়া পুরোপুরি কাটেনি। পরিকাঠামোগত খামতির জন্য দিল্লি তলব করা হয় পুরুলিয়া ও কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ কর্তাদের। দুই মেডিক্যালের কর্তারাই এমসিআই কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন।
এমসিআইকে কলকাতায় বসে চিঠি পাঠিয়ে মুচলেকা দেওয়া বা দিল্লিতে গিয়ে মুচলেকা দেওয়া— দুটোই এক বালতি দুধে দু’ফোঁটা চোনা নয় কি? এ প্রশ্ন করা হয়েছিল দপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার এক শীর্ষকর্তাকে। এদিন তিনি দাবি করেন, এগুলি রুটিন ব্যাপার। নতুন কলেজ চালু করতে গেলে সরকারি-বেসরকারি সব মেডিক্যাল কলেজকেই এই ‘প্রসেস’-এর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সরকারি কলেজে সাধারণভাবে কোনও দু’নম্বরি থাকে না বলে, ছাড়পত্র পেতেও খুব একটা সমস্যা হয় না। আশা করছি, মঙ্গলবার আমাদের দিল্লি যাওয়া ইতিবাচক হবে এবং এ সপ্তাহের মধ্যে বাকি চার কলেজের ছাড়পত্র হাতেহাতেই পেয়ে যাব আমরা।