সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
এই ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শাসকদলের শিবিরে ব্যাপক উত্তেজনাও তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ৫ মে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙা থানায় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ওইদিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এবং ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ তাঁর এক সহকর্মীর মোবাইলে বাংলাদেশ থেকে দু’বার ফোন আসে। যে ফোন করেছিল সে নিজেকে বাংলাদেশি বলে দাবি করে পুরো বিষয়টি জানায়। সে জানিয়েছে, দেবদাস মণ্ডল, শান্তনু ঠাকুর, মঞ্জুল ঠাকুর এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঠাকুরনগরে বসে খাদ্যমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছে। যে ব্যক্তি ফোন করেছিল, সে নাকি সুপারি কিলারদেরই একজন। সে আরও জানিয়েছে, পাঁচ লক্ষ টাকা অগ্রিম পেয়েই খাদ্যমন্ত্রীকে খুন করার জন্য সুপারি কিলারদের একটি অংশ ইতিমধ্যেই বনগাঁয় ঢুকে পড়েছে।
এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমাকে ফোন করার কেউ সাহস পায়নি। আমার যে সহকর্মীর মোবাইলে ওই ফোন এসেছিল, তার পুরো কল রেকর্ড রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আমরা ওই কল রেকর্ড পুলিসের হাতেও তুলে দেব। রাজনীতির ময়দানে না পেরে বিজেপি এখন আমাকে খুনের চক্রান্তে নেমেছে। আমি পুলিসকে বলেছি, এই খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শান্তনু ঠাকুর, মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং দেবদাস মণ্ডলকে যেন অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সুপারি কিলারদেরও যেন খুঁজে বের করা হয়।
এ ব্যাপারে শান্তনু ঠাকুরের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, বিজেপির বারাসত জেলার সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এইসব করে উনি নিজেরই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। আসলে এই লোকসভা নির্বাচনে পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। সেটা বুঝতে পেরে খাদ্যমন্ত্রী এখন উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন। এই খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তারই একটা বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এই অভিযোগের কোনও সত্যতাই নেই।