সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
প্রচণ্ড গরম ও রোদ উপেক্ষা করে এদিনের সভায় প্রচুর মহিলা ভিড় করায় দৃশ্যত আপ্লুত মমতা বলেন, এই গরমে অনেক কষ্ট করেআপনারা হেঁটে হেঁটে সভায় এসেছেন। আপনাদের পাগুলোকে আমি প্রণাম জানাই। এদিনের সভায় বাঁকুড়া থেকে রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করায় এবং বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে সৌমিত্র খাঁয়ের বদলে শ্যামল সাঁতরাকে দাঁড় করানোর কারণও তিনি ব্যাখ্যা করেন। মমতা বলেন, এঁরা দু’জনেই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। কিছু পেতে গেলে কিছু ত্যাগ করতে হয়। আমি গদ্দার, বিশ্বাসঘাতকদের স্থান দিই না। তাই গতবারের প্রার্থীকে বদলে দিয়েছি।
এদিন তিনটি সভাতেই তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি নরেন্দ্র মোদিকে একালের কুম্ভকর্ণ বলে কটাক্ষ করে বলেন, পাঁচ বছরের মধ্যে সাড়ে চার বছর উনি বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এখন কাপড়, টিভির দোকান খুলে বসছেন। নিজেকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করাচ্ছেন। সব দোকান খোলা হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে জুতোর দোকান খোলা। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, নরসীমা রাওসহ দেশে বহু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু কাউকে এভাবে দোকান খুলতে হয়নি। এখন সপ্তাহে সেজেগুজে বসে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে। আহা রে, কত বড় মন! মনের মধ্যে শুধু দাঙ্গা কিলবিল করছে।
মোদি সরকারের গতবারের নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রী জনতার কাছে জানতে চান, বিদেশ থেকে কালো ধন ফিরিয়ে এনে আপনাদের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা দিয়েছে? নোট বাতিল করে সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে পেরেছে? আচ্ছে দিনের কথা বলে পেট্রল, ডিজেল গ্যাসের দাম কমাতে পেরেছে? জনতার কাছ থেকে উত্তর আসে না না না। মমতা বলেন, তাহলে কেন বিজেপিকে ভোট? এবার ওরা সব রাজ্যে গোল্লা পাবে। দিল্লিতে সরকার গড়বে বাংলা। তৃণমূলনেত্রী বলেন, গতবার ভোটের আগে চাওয়ালা সেজে চা বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এবার চাওয়ালা সাজলে হবে না বুঝেই চৌকিদার সেজেছেন। তারপরেই জনতার উদ্দেশে তার প্রশ্ন- চৌকিদার? উত্তর আসে, ‘চোর হ্যায়’।
মমতা বলেন, মোদি সারা দেশকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছে। কিন্তু আমি মোদিকে ভয় পাই না। আপনারাই আমাকে এই সাহস জুগিয়েছেন। এদিন সভা শেষে মহিলারা উলুধ্বনি দিয়ে ও শাঁখ বাজিয়ে তৃণমূলনেত্রীর স্লোগানে সঙ্গ দেন। যুবক ও পুরুষরা হাততালি দিয়ে সভাস্থল ভরিয়ে দেন। কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে সভার শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন জেলা তৃণমূলের দুই কাণ্ডারি অরূপ খাঁ ও অরূপ চক্রবর্তী। বড়জোড়ার ব্লক সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, বড়জোড়া নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। এদিন সভার পর সেই চিন্তা আর রইল না।