সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
বিগত নির্বাচনগুলির ফলের তথ্য-পরিসংখ্যান যে আদৌ তাঁদের পক্ষে স্বস্তির নয়, সেটা বিলক্ষণ জানেন দুই বাম প্রার্থী। তা সত্ত্বেও ভোটের দিন তাঁরা কোন সাহসে কর্মীদের নিয়ে ময়দানে থাকার অঙ্গীকার করছেন, সেটাই ছিল প্রশ্ন। দুই বাম প্রার্থীর জবাব, অতীতের পরিসংখ্যান দিয়ে রাজনীতি সব সময় হয় না। বিশেষ করে ভোটের রাজনীতি। আমরা গত দেড় মাস ধরে এলাকায় যেভাবে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছি, তাতেই বুঝেছি, তাঁরা কী চান। দুই কেন্দ্রের অসংখ্য প্রান্তিক মানুষের ক্ষোভ একটাই—গত কয়েক বছরে তাঁরা তাঁদের এমপিকে সেভাবে পাশে পাননি। একজন তো বছর দুয়েক জেলেই ছিলেন। অন্যজন বাইরে থাকলেও সংসদে হাজিরা সহ তাঁর সার্বিক পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, কেন মানুষ ক্ষিপ্ত। আসলে নাগরিকরা এমন একজনকে সংসদে প্রতিনিধি করে পাঠাতে চান, যিনি তাঁদের সমস্যার কথা সেখানে তুলে ধরবেন। মানুষের ক্ষোভ ও হতাশাই তাঁদের কাছে এবার প্রচারের অন্যতম ইস্যুও বটে। প্রচারে গিয়ে মানুষের সাড়া যেভাবে মিলেছে, তাতে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা অনেকটাই দূর হয়েছে বলে মনে করছেন দুই প্রার্থী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা নরেন্দ্র মোদির দলকে দূরে ঠেলে কী কারণে তাঁদের ভোট দেবেন মানুষ? এব্যাপারে দুই মহিলা প্রার্থীরই চটজলদি উত্তর, বিকল্প নীতিই তার অন্যতম কারণ। বিজেপি ও তৃণমূল আসলে একই মুদ্রার দুই দিক। দুটি পিঠের চেহারাই এক। এই দুই দলের মধ্যে নীতিগত ফারাক নেই। প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার নোংরা বিষয়কে ভোটের রাজনীতিতে ব্যবহার করছে এই দু’দল। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে বিভাজনের মাত্রা বাড়াতে এখন দু’দলই মেকি চুলোচুলি করছে। ওদের এই ঝগড়ায় সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি আর সামনে আসছে না। মানুষ এই গট-আপ খেলা এবার ধরে ফেলেছে। পাশাপাশি বামপন্থী হিসেবে আমরা মানুষের রুটি-রুজি-বাসস্থানের মতো মৌলিক সমস্যার সমাধানে বিকল্প পরিকল্পনার কথা তুলে ধরছি। সেই কারণে আমরা প্রচারে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। আমরা আশাবাদী, এবারের ভোটে তার প্রতিফলন ঘটবে। প্রসঙ্গত, দুই বাম প্রার্থী ইতিমধ্যেই তাঁদের এলাকার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই এক বা একাধিকবার জনসংযোগের কাজ সেরে ফেলেছেন বলে এদিন দাবি করেছেন।