সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
নরেন্দ্র মোদির পর এদিন অমিত শাহও বলেছেন, মমতাদি বাংলায় জয় শ্রীরাম বলতে দিচ্ছেন না। আমিও জয় শ্রীরাম বলছি। আপনার ইচ্ছা হলে আপনি আমাকেও জেলে ঢুকিয়ে দিন। উনি দুর্গোপুজো করতে দিচ্ছেন না, জয় শ্রীরাম বলতে দিচ্ছেন না, অথচ টোল ট্যাক্সে রাজ্যটাকে ঘিরে রেখেছেন। আপনারা কি এসব থেকে মুক্তি চান না?
তিনি বলেন, বাংলায় যত শরণার্থী আছে, সকলকে আমাদের সরকার নাগরিকত্ব দেবে। আর আমাদের সরকার আপনারা বেছে নিন, ২৩টি আসন একবার দিয়ে দিন, অনুপ্রবেশকারীদের আমরা খুঁজে খুঁজে বার করব। মোদিজি বাংলার উন্নতির জন্য প্রচুর টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু আপনারা এই টাকা পান না। মমতাদির গুন্ডারা মাঝে খেয়ে নেয়। ভারতীয় জনতা পার্টি মমতাদির সন্ত্রাস থেকে বাংলাকে মুক্তি দিতে চায়। দিলীপ ঘোষকে ডেকে তিনি বলেন, বাংলার সবচেয়ে বড় নেতা তিনি। আপনারা ওনাকে সংসদ সদস্য করে দিন, ওনাকে বড় নেতা করার কাজ বিজেপি পার্টির।
তিনি বলেন, মোদি বলেছেন, রাজীব গান্ধীর সময় বোফর্স হয়েছে। কী ভুল হয়েছে? সত্যি বলা কি কোনও ভুল? প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোদির তুলনা দুর্যোধনের সঙ্গে করেছেন। চিন্তা করবেন না, ২৩ তারিখ মানুষ ঠিক করবেন, উনি অর্জুন না দুর্যোধন।
এদিনের শুরুতে ঘাটালের সভায় বারবার এই রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, এই রাজ্যে অরাজকতা চলছে। আর কয়েকটা দিন চলতে দিন। ২৩ মে’র পরই তৃণমূল সরকার বুঝতে পারবে এই অপশাসনের ফলে মানুষ আর তৃণমূলের পাশে নেই। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ২৩টিরও বেশি আসন পাবে। সেই সঙ্গে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে চলেছেন বলে অমিতবাবু হুঙ্কার দেন।
তিনি বলেন, তৃণমূলের আমলে পশ্চিমবঙ্গে একটিও নতুন শিল্প, কলকারখানা হয়নি। বিজেপি এলে পশ্চিমবঙ্গের ভোল বদলে দেব। অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, বাঙালির সন্তান হয়ে বাংলায় পড়াশোনা করতে চাওয়াটা কি অপরাধ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত এই রাজ্যে সেটাও অপরাধ। ইসলামপুরে একটি স্কুলে উর্দুভাষা পড়তে না চাওয়ার বিরোধিতা করেছিল কিছু ছাত্র। তাই দু’জনকে গুলিতে প্রাণ দিতে হল। এর মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বলতে চাইছেন সেটা আপনারা বুঝতেই পারছেন। শ্রীরামচন্দ্রের জন্মভূমি ভারতবর্ষে ‘জয় শ্রীরাম’ বলা যাবে না। এটাও নাকি একটা অপরাধ। তাই আপনাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সামনে জয় শ্রীরাম বললে তিনি চটে যান। তাঁদের তাড়া করে যান।
শেষবেলায় বিষ্ণপুরের রামসাগরে তিনি বলেন, আমরা যে টাকা দিয়েছি, সিন্ডিকিটের মাধ্যমে জনগণের জায়গায় সেই টাকা দিদির ভাইয়ের পকেটে ঢুকে গিয়েছে। তৃণমূল সাত বছরে বাংলাকে কাঙাল করে দিয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এলে এই বাংলাকে সোনার বাংলা করে তুলব। আমরা পুণরায় ক্ষমতায় এলে, ৯০ দিনের মধ্যে চিটফান্ডের যুক্তদের জেলে ঢোকাব।