ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাষা, ১৪ নম্বর বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা কুন্তল প্রামাণিক। ছোট থেকেই রহড়া মিশনের বালকাশ্রমের ছাত্র। এই আশ্রমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অনাথ ও দুঃস্থদের থাকা-পড়াশোনার সুযোগ দেন মিশনের মহারাজরা। কুন্তলের বাড়িতে রয়েছে তার বাবা হারাণ প্রামাণিক। তিনি বেসরকারি কারখানার অস্থায়ী শ্রমিক। মা কাকলিদেবী গৃহবধূ। তাদের এক ছটাকও চাষের জমি নেই। পরিবারটি অত্যন্ত দুঃস্থ। কুন্তলকে ভালো করে পড়াশোনা করাতে মহারাজরা নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের নজরদারিতে বড় হয় ছেলেটি। এবার মাধ্যমিক দিয়েছে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর চমকে দেওয়ার মতো। ৬৪৬ পেয়েছে ও। অঙ্কে ৯৯, ভূগোলে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯৫, ইতিহাসে ৯৩, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৪, ইংরেজিতে ৮৫ ও বাংলায় পেয়েছে ৮২ নম্বর। মা কাকলি প্রামাণিক বলেন, ‘ছেলে ডাক্তার হতে চায়। কিন্তু অত খরচ। কীভাবে সম্ভব হবে জানি না। মহারাজরাই একমাত্র ভরসা।’ কুন্তল একা নয়।
পুরুলিয়ার বান্দোয়ান। এক সময়কার মাও অধ্যুষিত শিরিষগোড়া গ্রাম। সেখানে বাড়ি দেবাশিস মান্ডির। তার বাবা চিত্তরঞ্জন মান্ডি চাষ করেন। মা শান্তনিদেবী গৃহবধূ। সংসারে প্রবল অভাব। মহারাজরা দেবাশিসের দায়িত্ব নেন। ছোট থেকে সেও এই মিশনের ছাত্র। এবার তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৩৪। বাংলায় ৮১, ইংরেজিতে ৮৪, অঙ্কে ৯১, ভৌত বিজ্ঞানে ৯১, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯১ ও ভূগোলে ৯৯ নম্বর পেয়েছে। দেবাশিস জানিয়েছে, তার জীবনের লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী মুরলিধরানন্দজী মহারাজ বলেন, ‘স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ১৯৫ ছাত্র। সর্বোচ্চ ৬৭০ নম্বর পেয়েছে দ্বৈপায়ন রায়। আশ্রম থেকে এবার ৪২ ছাত্র পরীক্ষা দিয়েছিল। তারমধ্যে ৪০ জন প্রথম বিভাগে পাশ করেছে। স্টার পেয়েছে ২১ জন। কুন্তুল, দেবাশিস ছাড়াও পুরুলিয়ার বীরেন্দ্র মাহাত ৬৩৩ নম্বর পেয়েছে।’ তিনি জানান, অনেকেই খুব ভালো ফল করেছে। কয়েক জনের ফলাফল আরও ভালো হতে পারত। তাদের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি আরও ভালো করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।