ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
সুমনা এবং অভিসেন এবার মাধ্যমিকে ৬৪৭ নম্বর পেয়েছে। সুমনার বাবা বাতাসা তৈরি করে সেটা ভ্যানে করে বাজারে বিক্রি করেন। সংসারে অভাব নিত্যসঙ্গী। এই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই সাতটি বিষয়ে লেটার নিয়ে পাশ করেছে ওই ছাত্রী। সুমনা কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুল থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। চিকিৎসক হয়ে গ্রামের মানুষদের সেবা করতে চায় সে। তার ফলাফলে খুশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, অভাবের মধ্যেও সুমনার ফলাফল অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে। এদিকে, অভিসেনের বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা কাজ তাঁর। লক্ষ্য একটাই, ছেলের পড়াশুনায় যাতে অর্থ কোনও বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। তাই অনেক কষ্টে রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশুনা করিয়েছেন তিনি। এবারে দ্বিতীয় ধাপে সফল করতে ছেলেকে সেরার সেরা পড়াশুনার পরিষেবা দিতে উদ্যোগী ভদ্রসেনবাবু। তিনি জানিয়েছেন, জমি বন্ধক রাখব। ছেলের পড়াশুনাটাই আসল। পরে জমি ছাড়াতে পারব কি না, সেটা জানি না। আগে ও নিজের পায়ে দাঁড়াক।
সুমনা এবং অভিসেনের অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া ঘর। সেখানে থেকেই পড়াশুনা করেছে তারা। সুমনার কথায়, আমার কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না। বাড়িতে টিভি খারাপ হয়ে পড়ে আছে। অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যে এই ফল করতে পেরেছি। অভিসেনের বক্তব্য, মিশনের সাহায্য ছাড়া এই ফল হতো না। বাবা অনেক কষ্টে আমায় লেখাপড়া শেখাচ্ছে। আমি ডাক্তার হয়ে গেলে যাবতীয় দুঃখ কষ্ট মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।