ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
১০ ঘণ্টা অপারেশনের পর বাগদা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস। ব্যবসায়ীর নাম সেখ মহম্মদ আহিয়া (৫২)। অপহরণের অভিযোগে ধৃত দুই ব্যক্তি হল সুব্রত বালা ওরফে পার্থ ও অভিজিৎ বিশ্বাস। এদিন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় তাদের। ধৃতদের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিস সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক ধরে শেয়ার বাজারে টাকা লগ্নির ব্যবসা আহিয়ার। কলকাতা থেকে দিল্লিতে চলে তাঁর ব্যবসা। ভারতীয় টাকা ডলারে বদলে দেওয়ার ব্যবসাও রয়েছে বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের বাসিন্দার। ব্যবসা সূত্রেই বছর দুয়েক আগে সুব্রত ও অভিজিতের সঙ্গে পরিচয় হয় প্রৌঢ়ের। অপহৃতের পরিবার সূত্রে খবর, এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা লেনদেন নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই হিসেবের একাংশ মেটানোর জন্যই মঙ্গলবার সকালে ফোন আসে আহিয়ার কাছে। কাঁচরাপাড়াতে দেখা করার জন্য ডাকা হয় তাঁকে। সেখানে পৌঁছনো মাত্রই সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মেটানোর জন্য চাপ দেয় দুই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, অপহৃতের কাছে দেড় লক্ষ টাকা নগদ ছিল। ধৃতদের সেই টাকা দেন আহিয়া। বাকি ২ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় একটি গাড়িতে তুলে ব্যবসায়ীকে নিয়ে যাওয়া হয় ইছামতী নদীর ধারে। সেখান থেকে ফোন যায় অপহৃতের পরিবারের কাছে। টাকা না দিলে ব্যবসায়ীকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মুক্তিপণের ফোন পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁশদ্রোণী থানায় যোগাযোগ করেন অপহৃতের স্ত্রী। দ্রুত সেই খবর পৌঁছে যায় ডেপুটি কমিশনার (সাউথ সাবার্বান) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্তের কাছে। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুণ্ডাদমন শাখা ও বাঁশদ্রোণী থানার যৌথ টিম তৈরি হয়। মুক্তিপণের ফোনের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে বাগদা রওনা দেন তদন্তকারীরা। কলকাতা পুলিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশ কয়েকবার জায়গা বদল করে বিভ্রান্ত করে দুই অভিযুক্ত। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার ভোররাতে ইছামতীর ধারের একটি বাড়ি থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিস।
উল্লেখ্য, এর আগে ভবানীপুরের ব্যবসায়ী বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে অপহৃত হয় এক ব্যবসায়ী। নিমতায় এক ব্যবসায়িক বন্ধুর বাড়ি থেকে তাঁর বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গত সপ্তাহে কড়েয়া থেকে অপহরণ করা হয় আরও এক ব্যবসায়ীকে। চাওয়া হয় ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ। অরুণাচলপ্রদেশ থেকে ব্যবসায়ীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে লালবাজার।