সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
গত কয়েক বছরে শহরের একাধিক থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের বার্গলারি শাখাকে ব্যতিব্যস্ত করেছে রমজান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা হলেও উত্তর কলকাতার অলিগলি নখদর্পণে তার। গত বছর গিরিশ পার্ক থানা এলাকায় একটি বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকে সোনা-রুপোর অলঙ্কার, নগদ সহ লক্ষাধিক টাকা চুরির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। বাড়ি মালিক লিখিত অভিযোগ করেন গিরিশ পার্ক থানায়। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে লালবাজারের বার্গলারি দমন শাখা। গ্রেপ্তারও করা হয় অভিযুক্তকে। যদিও জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় রমজান। পুলিসের দাবি, গ্রেপ্তারির পরের দমে যাওয়া তো দূর অস্ত, বদলে ‘স্ট্রাইক-রেট’ আরও বেড়ে যায় তার। রিজেন্ট পার্ক, হরিদেবপুর, টালিগঞ্জ থানা এলাকায় পরপর বাড়ি থেকে চুরি করতে থাকে সে। সবক্ষেত্রেই আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত হিসেবে রমজানই চিহ্নিত হয়। তবে থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টাতেও অভিযুক্তকে পাকড়াও করা সম্ভব হচ্ছিল না।
অবশেষে বাধা কাটল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এক ব্যক্তি চারু মার্কেট থানায় গিয়ে মোবাইল চুরির অভিযোগ জানান। তিনি পুলিসকে জানান, রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে নেমে তিনি দেখেন পকেট থেকে মোবাইল গায়েব। তদন্তে নেমে সেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এক ঘণ্টার মধ্যে রমজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া মোবাইলটিও। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, গত একমাসে কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবরে প্রায় ২০টিরও বেশি মোবাইল চুরির অভিযোগ এসেছে। এনিয়ে অভিযুক্তকে প্রাথমিকভাবে জেরা করেন তদন্তকারীরা। মূলত এই দু’টি মেট্রো স্টেশনই ছিল তার টার্গেট।
কিন্তু, বাড়ি থেকে চুরি ছেড়ে মেট্রো স্টেশনে মোবাইল চুরিতে নাম লেখানো কেন? পুলিসের প্রশ্নের জবাবে ধৃতের দাবি, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে শহরের নিরাপত্তায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জোড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। তাই বার্গলারি ছেড়ে মোবাইল হাতাতে শুরু করে সে। উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে শ্যামবাজারে মেট্রো স্টেশনের পাশে নামী ঘড়ির শোরুম থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরি যায়। সেই কাণ্ডে এই রমজানের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি? স্পষ্ট হতে ধৃতকে জেরা করতে পারেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। -নিজস্ব চিত্র