সোমবারের পড়ন্ত বিকেল। ঘড়িতে তখন সাড়ে ৫টা। হাওড়ার দাশনগর স্টেশনের সামনে থিকথিকে ভিড়। না, তাঁরা কেউই ট্রেনের যাত্রী নন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবার চোখের দেখা দেখতে জেলা সদরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে এসেছেন কর্মী-সমর্থকরা।
সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড় এলাকা কলকাতা পুলিস অধিগ্রহণের পরই মারাত্মক অভিযোগ উঠল উর্দিধারীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক গ্যাসের ডিলারের থেকে ১০ লক্ষ টাকা চেয়েছেন ভাঙড় থানার এক অফিসার। এমনই অভিযোগ তুলে সেই অফিসারের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার দুপুরে ভাঙড় থানা এলাকার শাকশহর অঞ্চলে এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনাস্থল ছেড়ে কার্যত পালিয়ে যেতে বাধ্য হন পুলিস অফিসার ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যান্য কর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শাকশহর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের ব্যবসা করেন সইফুদ্দিন মোল্লা। অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ীর কাছে দশ লক্ষ টাকা ‘তোলা’ চান থানার এক অফিসার। সইফুদ্দিন বলেন, ‘আমি তাঁকে বলি, এত টাকা দিতে পারব না।’ ব্যবসায়ীর অভিযোগ, পুলিস বেআইনি ব্যবসার কেস দিয়ে গ্রেপ্তারির ভয় দেখায়। সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন ব্যবসায়ী। সেইমতো মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ সইফুদ্দিনের অফিসে যান ওই অফিসার। সইফুদ্দিন জানিয়েছেন, ‘ধার করে আড়াই লক্ষ টাকা নগদ তুলে ওই অফিসারকে দিই।’ দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়েছে।
এরপর এদিন দুপুরে ফের বাকি আড়াই লক্ষ টাকা নিতে যান ওই অফিসার। অভিযোগ, টাকা জোগাড় করতে না পেরে স্ত্রীর গয়না বন্ধক দেন ওই ব্যবসায়ী। সেই খবর রটতেই প্রতিবাদে সরব হন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁরাই পুলিসের গাড়ি আটকে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল মোল্লা বলেন, ‘বেঙ্গল পুলিসের এত চাহিদা ছিল না। কলকাতা পুলিস আসার পর থেকেই ভাঙড়, চন্দনেশ্বর, পোলেরহাট সব থানার চাহিদা বেড়ে গেছে। কেউ কোনও ব্যবসা করতে পারছেন না। সব জায়াগায় পুলিস তোলাবাজি করছে।’
এই ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত সইফুদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীরা যেভাবে প্রতিবাদ করেছেন, তাতে পুলিস হয়তো আমাকে গ্রেপ্তার করবে, ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। এমন হলে বউ-বাচ্চা না খেতে পেয়ে মারা যাবে।’ এপ্রসঙ্গে ভাঙড় ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার সৈকত ঘোষ বলেন, ‘আমরা একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনাটি কী হয়েছে, সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ওই অফিসারের ভূমিকা কী তাও দেখা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কি না, সেটা নিয়েও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’
এরপর এদিন দুপুরে ফের বাকি আড়াই লক্ষ টাকা নিতে যান ওই অফিসার। অভিযোগ, টাকা জোগাড় করতে না পেরে স্ত্রীর গয়না বন্ধক দেন ওই ব্যবসায়ী। সেই খবর রটতেই প্রতিবাদে সরব হন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁরাই পুলিসের গাড়ি আটকে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল মোল্লা বলেন, ‘বেঙ্গল পুলিসের এত চাহিদা ছিল না। কলকাতা পুলিস আসার পর থেকেই ভাঙড়, চন্দনেশ্বর, পোলেরহাট সব থানার চাহিদা বেড়ে গেছে। কেউ কোনও ব্যবসা করতে পারছেন না। সব জায়াগায় পুলিস তোলাবাজি করছে।’
এই ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত সইফুদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীরা যেভাবে প্রতিবাদ করেছেন, তাতে পুলিস হয়তো আমাকে গ্রেপ্তার করবে, ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। এমন হলে বউ-বাচ্চা না খেতে পেয়ে মারা যাবে।’ এপ্রসঙ্গে ভাঙড় ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার সৈকত ঘোষ বলেন, ‘আমরা একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনাটি কী হয়েছে, সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ওই অফিসারের ভূমিকা কী তাও দেখা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কি না, সেটা নিয়েও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’
