যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
তবে এখানেই ঘটনার শেষ নয়। প্রবীণ নাগরিক হাজি মোস্তফা মোল্লার দাবি, শুক্রবার মার খাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় গিয়েছিলেন টেকনো সিটি থানায়। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে এক প্রভাবশালী জড়িয়ে বলে পুলিস অভিযোগ নেয়নি। তারপর প্রবল শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে বাধ্য হয়ে যান রাজারহাট থানায়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে চলে যেতে বলা হয় তাঁকে। দুই থানার পুলিসই অভিযোগ গ্রহণ করেনি। তারপর অবশ্য টেকনো সিটি থানা শনিবার অভিযোগ গ্রহণ করে। উপপ্রধান টুটুন গাজি অবশ্য বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিবাদে দু’ভাইয়ের বচসা হয়েছে। কোনও মারধর করা হয়নি।’
পাথরঘাটা পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগরিক সমস্যা সমাধানে প্রতি শুক্রবার পঞ্চায়েতে সালিশি সভা বসে। শুক্রবার জমি সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসার জন্য কালিকাপুর থেকে দুই ভাইকে চিঠি দিয়ে ডাকা হয়েছিল। শুক্রবার দু’জনে হাজির হন। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ পাথরঘাটা পঞ্চায়েতে দোতলায় উপপ্রধানের ঘরে শুরু হয় সালিসি সভা। এই পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন পিঙ্কি মণ্ডল। সালিশিতে উপস্থিত ছিলেন পিঙ্কির স্বামী তথা পাথরঘাটা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শশাঙ্ক মণ্ডল ও আরও কয়েকজনও।
হাজি মোস্তফা বলেন, ‘দুই ভাইয়ের মধ্যে কোর্টে মামলা চলছে এই কথাটা জানানো হয়েছিল সালিশিতে। তা শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিচারকরা। উপপ্রধান আচমকা চিৎকার করে বলে ওঠেন ‘কোর্ট আমরাই’। বলেই বেধড়ক মারধর শুরু করেন।’ ঘটনার কথা শোনার পর রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, ‘সালিশি সভা ডাকা হয় গ্রাম্য বিবাদ মীমাংসার জন্য। সেখানে মারধরের প্রশ্ন ওঠে না। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেব।’