সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
ইডি জেনেছে, ২০১২ সালে ডিএলএড কলেজ খোলেন এই যুবনেতা। তার চার বছরের মধ্যেই একটি স্কুল তৈরি করেন। সেটি একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে চলছে। স্কুল ও কলেজ থাকার কথা আদালতে নিজেই জানিয়েছেন কুন্তল। কিন্তু ইডি কর্তারা তাঁর অতীত ঘেঁটে দেখতে চাইছেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, শাসক দল ক্ষমতায় আসার আগে কুন্তল ভালো কিছু করতেন না। হুগলি জেলাতেও তাঁর নামডাক হয়নি। তৃণমূল যখন বিরোধী দল, তখন তাঁকে কোনও আন্দোলনে দেখা যায়নি। এলাকায় ছোটখাট জমি-বাড়ির দালালি করেই টাকা রোজগার করতেন তিনি। ইডির হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে তাঁর। বড় মাপের এক নেতার হাত ধরে তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন কুন্তল। এরপরই তাঁর কপাল খুলে যায় বলে অভিযোগ। ইডি জেনেছে, এই যুবনেতার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ প্রায় একশো কোটি ছুঁইছঁই। এ কেবল নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় করা সম্ভব নয়। অন্য উপায়েও টাকা রোজগার করেছেন তিনি। তদন্তে প্রকাশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার কালো টাকা সাদা করে দিয়েও ব্যাপক কামিয়েছেন এই যুবনেতা। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতেও শেয়ার কিনেছিলেন কুন্তল। নিজেকে ‘উদ্যেগপতি’ বলে পরিচয় দিতেই গর্ববোধ করেন তিনি। বেসরকারি মিডিয়ার কাছ থেকেও তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। হঠাৎ করে তাঁর ফুলেফেঁপে ওঠার কারণ জানতেই কুন্তলের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং বিনিয়োগের নথি যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ওইসঙ্গে তাঁর খোলা ট্রাস্টে কারা বিনিয়োগ করেছিল তারও নথি সংগ্রহে তৎপর ইডি।