বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের এই পদক্ষেপকে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, সঠিক কোনও পরিসংখ্যান না থাকলেও বাংলায় গৃহকর্মের সঙ্গে যুক্ত মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা ২৫-৩০ লক্ষ বলে জানা গিয়েছে। আধিকারিকদের কথায়, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের চালু করা ই-শ্রম পোর্টালে বাংলার প্রায় সাড়ে ২১ লক্ষ গৃহকর্মী বা ডোমেস্টিক ওয়ার্কার নাম নথিভুক্ত করেছেন। এর বাইরেও আরও কয়েক লক্ষ এই ধরনের কর্মী বা শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অসুস্থ মানুষকে রাত-দিন দেখভালের দায়িত্বে থাকা আয়া বা ওই জাতীয় কর্মীরাও। এই কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্ত করলে তা কমবেশি কোটির কাছাকাছি হবে। এই কর্মীদের সিংহভাগের আদি বাড়ি গ্রামাঞ্চলে। তাই পঞ্চায়েত ভোটে এই সরকারি সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রতিফলন পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নির্দিষ্ট বিধির আওতায় এনে আইনি বৈধতা দিলেও এই বিপুল সংখ্যক গৃহকর্মীর ন্যূনতম মজুরি কত হবে, তা নিয়ে এখনও ভাবনাচিন্তা করেনি শ্রমদপ্তর। গৃহকর্মীদের মজুরি ও অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শ্রমিক সংগঠনগুলিও কোনও দাবি পেশ করেনি। ইতিমধ্যেই রাজস্থান, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, দাদরা ও নগর হাভেলির মতো কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গৃহকর্মীদের জন্য ন্যূনতম মজুরি বিধি প্রণয়ন করেছে। ঘণ্টা প্রতি, দৈনিক ও মাসিক— সব ধরনের অপশনই দিয়েছে তারা। মাসে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা মজুরি বা বেতন ধার্য করেছে ওই রাজ্যগুলি। দক্ষ, অর্ধদক্ষ ও অদক্ষ— এই ভিত্তিতেই ভাগ করা হয়েছে গৃহকর্মীদের। পশ্চিমবঙ্গ এবার কোন পথে হাঁটবে, তা নির্ভর করবে ট্রেড ইউনিয়ন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির দরবার কতটা ফলপ্রসূ হয়, তার উপর। তবে আলোচনা সাপেক্ষে ন্যূনতম মজুরি সংক্রান্ত বোর্ড সবুজ সঙ্কেত দিলেই তা লাগু হয়ে যাবে বলে দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।