বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি চকবাজারের বাসিন্দা। স্থানীয় একটি মসজিদে তিনি আজান দেওয়ার কাজ করেন। মোয়াজ্জেম হিসাবেই তাঁর নিয়োগ হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এদিন তিনি ভোরে প্রতিদিনের মতো মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বাইক আরোহী তিন যুবক তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বলে। কিন্তু তিনি প্রশ্ন তোলেন আচমকা এভাবে তিনি একটি রাজনৈতিক স্লোগান কেন দেবেন? এতেই ক্ষিপ্ত ওই যুবকরা তাঁকে মারধর করে। তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, একপ্রস্থ মারধরের পরেই ওই যুবকরা বাইক চালিয়ে শ্রীরামের নামে জয়ধ্বনি দিতে দিতে চলে যায়। ওই যুবকদের একজনকেও আমি চিনি না। আগে কখনও দেখিনি। কেন এ ধরনের আচরণ তারা করল, আমি জানি না।
বিজেপির রাজ্যনেতা স্বপন পাল বলেন, এতদিন ধরে হুগলিতে দলীয় প্রচার হয়েছে। কখনও এধরনের ঘটনা ঘটেছে? ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পারছে, তাদের পায়ের তলায় জমি চলে গিয়েছে। তাই এধরনের পরিকল্পিত কুৎসা করছে। আর ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি সর্বত্র জনপ্রিয় হয়েছে। কেউ তা ব্যবহার করলেই আমাদের সঙ্গে যোগসূত্র কেন খোঁজা হবে? তৃণমূলের চুঁচুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, উগ্র ধর্মীয় ভাবধারা ছড়িয়ে দিয়ে বিজেপি যে সর্বনাশ হুগলির সামাজিক জীবনে করেছে, এসব তারই কুফল। ওরা যে বিষবৃক্ষ পুঁতেছে, তার খেসারত আরও কীভাবে দিতে হবে কে জানে! কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিস এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করুক। বড় উদ্বেগজনক পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।