বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বাবু শেখ, রফিকুল হক ওরফে রিঙ্কু ও রফিকুল আলম। তিনজনই বর্ধমানের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে বাবু শেখই খুনের মূল চক্রী। বাকি দু’জন তারই বন্ধু। তিনজনই রাজমিস্ত্রির কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে রিষড়ার দেওয়ানজি বাগানের একটি ফ্ল্যাটবাড়ির তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধূ ঝুমা চট্টোপাধ্যায় (৩৫) ও তাঁর দশ বছরের মেয়ে অঙ্কিতা চট্টোপাধ্যায়ের মৃতদেহ পুলিস পেয়েছিল। ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ থাকায় গোটা ঘটনা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়। শুক্রবারই মৃতার স্বামীকে পুলিস আটক করে। পেশায় দমকলকর্মী ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু সূত্র মেলে। সেই সূত্র ধরেই পুলিস তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝুমাদেবী পেশাদার গায়িকা ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বা তাঁর মেয়ে ফ্ল্যাটের বাইরে না আসায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী বাড়ি এসে দাবি করেন, তিনিও স্ত্রীকে বারবার ফোন করে পাননি। এরপরই পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। ফ্ল্যাটের ঘর থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঝুমাদেবীর দমকল কর্মী স্বামীও বাড়ি ছিলেন না বলে দাবি করেন। এই পরিস্থিতিতেই রহস্য তৈরি হয়।
তদন্তে নেমে পুলিস ঝুমাদেবী ও তাঁর মেয়ে দু’জনের শরীরেই শ্বাসরোধ করার চিহ্ন পায়। সেখান থেকে খুনের সন্দেহ তৈরি হয়। এরপরই ঝুমাদেবীর যোগাযোগের সূত্র ধরে বর্ধমান থেকে তিন অভিযুক্তকে পুলিস প্রেপ্তার করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝুমাদেবীর সঙ্গে বাবু শেখের কোনওভাবে যোগাযোগ হয়েছিল। ওই গৃহবধূকে নিয়মিত অর্থ দিত বাবু শেখ। সম্প্রতি সেই সব অর্থ ফেরত চাইলে ওই গৃহবধূ তা দিতে অস্বীকার করেন। সেখান থেকেই খুনের পরিকল্পনা করে বাবু।