বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, আমতলা থেকে কিছুটা এগিয়ে গঙ্গারামপুর এলাকায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের মানুষ বসবাস করেন। সেখানেই পেরেন কেডরিক পিনারোর নামে অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ় থাকেন। রবিবার ছেলেকে খুঁজতে বেরিয়ে এক নাবালকের মা তার বাড়ি গিয়ে দেখেন, তাঁর ছেলেকে যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। এরপরই তিনি পাড়ায় এসে পুরো বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। একে একে এমন আরও পাঁচজন নাবালক এগিয়ে আসে। তারাও জানায়, কীভাবে তাদেরও একই ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সূত্রের খবর, কখনও খাবারের লোভ দেখিয়ে আবার কখনও খেলার প্রলোভনে এই নাবালকদের নিজের বাড়িতে ডেকে আনত এই প্রৌঢ়। আর তারপরই যৌন হেনস্তা করা হতো। কাউকে একথা বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হতো বলে নির্যাতিতরা জানায়। মঙ্গলবার এক নাবালকের মা স্বচক্ষে সব দেখে না ফেললে হয়তো এই বর্বরোচিত ঘটনা সামনেই আসত না। ওই রাতেই ছ’জনকে নিয়ে বিষ্ণুপুর থানায় যান তাদের পরিবারের লোকজন। বিষ্ণুপুর থানার পুলিস মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ছ’জনকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু কীভাবে দিনের পর দিন এভাবে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছিল এই ব্যক্তি, তা অবাক করেছে প্রত্যেককেই। পাড়ায় সেরকম খারাপ ভাবমূর্তি ছিল না ধৃতের। তাই এই ঘটনা সামনে আসতেই সবাই অবাক হয়ে গিয়েছেন।