বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
মিলন হালদার (৩৫) ছিলেন বিজেপির সক্রিয় কর্মী। পুলিস দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই পিটিয়ে মেরেছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, অষ্টমীর রাতে চণ্ডীতলার বাসিন্দা মিলন হালদার বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় নীলতলার কাছে ষষ্ঠীতলায় সাত-আটজন আচমকা তাঁর উপর চড়াও হয়। লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারা হয় তাঁকে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় নর্দমায় ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। গভীর রাতে স্থানীয়রা ওই যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় নর্দমায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই খবর দেন পাড়ায়। মিলনকে প্রথমে বারাকপুর বি এন বসু স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে মারধরের মামলা রুজু হয়েছিল। এবার খুনের মামলাও যুক্ত করা হবে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যায় বিজেপি বাসুদেবপুর থেকে ঝাউতলা হয়ে চণ্ডিপুর পর্যন্ত মিছিল করে। বারাকপুর বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, তৃণমূল হত্যার রাজনীতি করছে। বিজেপি কর্মীরাই খুন হচ্ছেন। পুলিস কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তৃণমূলের ভাটপাড়ার আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই তাদের দলের কর্মীরা প্রাণ হারাচ্ছেন। এখানে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
বাগনানের বেনাপুর মাজিপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হন বিজেপির স্থানীয় নেতা কিঙ্কর মাজি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। পুলিসের বক্তব্য, কিঙ্কর মাজি করোনায় মারা গিয়েছেন। এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর আসামাত্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বাগনান থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিজেপি কর্মীরা পথ অবরোধ করেন। জানা গিয়েছে, অষ্টমীর রাতে ফুল ব্যবসায়ী তথা বিজেপির বুথ সভাপতি কিঙ্কর মাজির পথ আটকায় তিন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। দুষ্কৃতীরা এরপর পালাতে গেলে গ্রামবাসীরা ছোট্টু মাইতি নামের একজনকে ধরে ফেলে এবং তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। গুলিবিদ্ধ কিঙ্কর মাজিকে প্রথমে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে, পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই অশান্তি পাকানোর লক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মূল অভিযুক্ত পরিতোষ মাজি ঘটনার চারদিন আগেও কিঙ্করকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। তার তারপরেই এই ঘটনা। এখন নজর ঘোরাতে পুলিস কিঙ্করবাবুকে করোনা আক্রান্ত বলে চালাতে চাইছে।
এই ঘটনায় হাওড়া জেলা তৃণমূলের (গ্রামীণ) কো-অর্ডিনেটর তথা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই।