বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুরসভার কর ও রাজস্ব বিভাগ সূত্রে খবর, গত অর্থবর্ষে সম্পত্তি কর বাবদ পুরসভার আয় হয়েছিল ৮৮৫ কোটি টাকা। যদিও পরবর্তীকালে করোনা আবহে
সব বন্ধ থাকায় পরের দু’-তিন মাস কোষাগার কার্যত শূন্য হয়ে পড়ে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে এই খাতে আয় হয়েছিল মাত্র ৩০ কোটি টাকা। অবশ্য আনলক পর্বে ধীরে ধীরে কোষাগার ভরতে শুরু করে। যদিও তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। অন্যান্য বছর যেখানে অন্তত বাড়তি আট-ন’ শতাংশ কর আদায় হতো, গত অর্থবর্ষে লকডাউন পর্বে তা মাত্র তিন-চার শতাংশ বেড়েছিল। চলতি অর্থবর্ষের শুরু থেকেই লকডাউন চলায় প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল- জুন) এই খাতে ঘাটতি ছিল প্রায় ৮৮ শতাংশ। সেই ঘাটতি মেটাতে আনলক পর্বে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তারপর বকেয়া করদাতাদের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। যার জেরে বর্তমানে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১৮-২০ শতাংশে নামানো গিয়েছে। কিন্তু আশাব্যঞ্জক আয় না হওয়ায় ওয়েভার স্কিমের ভাবনাচিন্তা শুরু করে পুরসভা। অনুমোদন দেয় প্রশাসক বোর্ড। নানা জটিলতা পেরিয়ে নবান্নের সিলমোহরের পর অবশেষে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে চালু হয়েছে ওয়েভার স্কিম। যেখানে এই প্রথম সুদ এবং জরিমানায় একশো শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। পুরসভার হিসেব, বর্তমানে সুদ ও আসল মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। প্রতি বছরই এর পরিমাণ উত্তরোত্তর বাড়ছে। এবার ওয়েভার স্কিম চালু হওয়ায় অনেকেই বকেয়া কর জমা দেবে বলে পুরকর্তারা আশাবাদী। এর ফলে বকেয়ার পরিমাণও কিছুটা কমবে। এক শীর্ষ কর্তা বলেন, গত বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত ৮০ শতাংশ সম্পত্তি কর আদায় হয়েছে। এখন বাকি ২০ শতাংশ ঘাটতি মিটিয়ে আরও ৩০-৪০ শতাংশ অতিরিক্ত আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক এগলে তা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আরও বেশি করে প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে।
ছাপানো হয়েছে লিফলেট। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ করেন। তাঁরাই এই প্রচারপত্র বিলি করবেন। পাশাপাশি, যাঁদের অতিরিক্ত কর বকেয়া, তাঁদের বিভিন্ন ধাপে চিহ্নিত করে ওয়েভার স্কিমের আবেদনপত্র সহ করের যাবতীয় নথি নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাবেন বিভাগীয় কর্মীরা। কার কত বাকি, ওয়েভারে কত টাকা দিতে হবে, সেই সব বিষয়ে অবগত করা হবে। কোথাও কোনও আইনি জটিলতা থাকলে তা মেটানোর ব্যবস্থা হবে। কিন্তু করে ছাড় নেই। টাকা দিতেই হবে। প্রয়োজনে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।