বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
উল্লেখ্য, মূলত প্রবীণ নাগরিকদের কথা চিন্তা করেই এই ভাবনা এসেছিল পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের মাথায়। সেইসঙ্গে ছোঁয়াচ এড়াতে প্রতিদিন নানা কারণে পুরভবনে জনতার আসা বন্ধের তাগিদও ছিল। সবদিক বিবেচনা করেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আধিকারিকদের নিয়ে ক্যাম্প করানোর পরিকল্পনা হয়। যেখানে একদিকে যেমন দ্রুত বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রদান সহ অন্যান্য কাজ করে দেওয়া হবে, তেমনই পুরকর্তাদের হাতের কাছে পেয়ে সেই এলাকার মানুষেরা নাগরিক সমস্যার কথাও জানাতে পারবেন। সমস্যার সমাধান আরও সহজ হবে। পুর-কোষাগারে অর্থ ঢুকতেও দেরি হবে না। তাই ঠিক হয়, আগামী ৮ আগস্ট ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এই পরিষেবা চালু হবে। তারপর ২২ অগাস্ট ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং ২৯ আগস্ট ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে এই ধরনের ক্যাম্প হবে।
তারপর আস্তে আস্তে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এই ধরনের ক্যাম্প হবে। কিন্তু একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে ওয়েভার স্কিমের অনুমতি না মেলায় আপাতত স্থগিত থাকছে এই কর্মসূচি। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানিয়েছেন, ওয়েভার স্কিমের অনুমতি এখনও আসেনি। এছাড়া করোনা নিয়েও ব্যস্ত সবাই। তবে, খুব শিগগিরই আমরা এই কার্যক্রম শুরু করব।
যদিও পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে যেভাবে শহরে সংক্রমণ বাড়ছে, সেই জায়গা থেকে পুর-কর্মী আধিকারিকরাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এই অবস্থায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে কোনও জায়গায় ক্যাম্প করে কাজের ক্ষেত্রে পুরকর্মীদের মধ্যে ইতস্তত বোধ রয়েছে। সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। কর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তাও রয়েছে ফিরহাদের। তাই সবদিক বিবেচনা করে আপাতত এই কর্মসূচি হচ্ছে না। যদিও আগস্টের মধ্যেই ওয়েভারের অনুমতি মিলতে পারে বলে আশাবাদী পুর-কর্তারা। সেক্ষেত্রে পরবর্তী ২২ এবং ২৯ আগস্ট, ওই কর্মসূচি শুরু করা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা হওয়ারও সুযোগ কম। নতুন দিন ফের ঘোষণা হতে পারে বলেই খবর। তবে, এই ধরনের ক্যাম্পের আগে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর বা পুর-কর্তৃপক্ষের তরফে পাড়ায় পাড়ায় চলবে মাইকিং করে প্রচার করা হবে।