বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মদারাট পঞ্চায়েতের আটঘড়ার কুমোরপাড়ার ১০০ পরিবারের সংসার চলে মাটির জিনিস তৈরি করে। ঘরে ঘরে পুরুষ-মহিলারা কোমর বেঁধে এই কাজ করেন। এঁদের হাতের তৈরি জিনিস যায় জেলা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। পুজো এলেই ঘুম চলে যায় এইসব কারিগরদের। প্রদীপ তৈরিতে নেমে পড়েন তাঁরা। কিন্তু লকডাউন তাঁদের রুজি রোজগারে অভাবের অন্ধকার ডেকে এনেছে। গরমের সময় মাটির কলসি তৈরি করেছিলেন তাঁরা। তার কিছু বিক্রিও হয়েছিল। কিন্তু, রথে মাটির টব তেমন বিক্রি হয়নি।
কুমোরপাড়ায় ঢুকতেই দেখা গেল, এক মহিলা কারিগর হাতপাখা নিয়ে বসে রয়েছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। তিনি বললেন, সংসার চলবে কী করে জানি না, কোনও বিক্রি নেই। রথের মেলাতে প্রতিবার অনেকে গাছের চারা কেনেন। তার জন্য টব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মেলাই বসল না কোথাও। তাই পড়ে আছে টব। অনেক টাকা লোকসানে পড়তে হল। এর আগে জলের জার কিছু বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। আর কিছুদিন পর রান্নাপুজো। এর জন্য মাটির হাঁড়ি তৈরি করা হচ্ছে, যদি কিছু বিক্রি হয়। এক কারিগর ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, দিনে ২০০ টাকা আয় হয় সারাদিন খেটে। এতে সংসার চলে? জিনিস আর বানাব কী করে? কারণ, এক লরি মাটির দামই ৮ হাজার টাকা। কলসি বিক্রি করে এই টাকা জোগাড় হয়েছিল। তাই মাটি এনে আরও কিছু জিনিস করতে পেরেছি। খড় ১ হাজার টাকা, কাঠ ১৫০ টাকা মণ, বেড়েছে রঙের দামও। রেশনের চালে কতদিন পেট ভরবে আয় না-হলে? সব মিলিয়ে অথই জলে পড়েছেন কুমোরপাড়ার কারিগররা।