বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশের মতো এই রাজ্যেও সমস্ত ধরনের প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজ থমকে পড়ে। শুধু তাই নয়, পুরসভার নিজস্ব আয় কার্যত তলানিতে ঠেকায় আর্থিক সঙ্কটও দেখা দিতে শুরু করেছে। সুপার মার্কেট, কমিউনিটি হল, সুইমিং পুল, জিম, হাসপাতাল থেকে পুরসভার আয় কমে গিয়েছে। এছাড়া জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র থেকে শুরু করে মিউটেশন, অ্যাসেসমেন্ট, লাইসেন্স, বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন থেকে আয়ও কার্যত বন্ধ। অপরদিকে, আয় কমলেও খরচ কিন্তু সেই অর্থে কমেনি। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলার প্রস্তুতি ও কর্মীদের বেতন দিতে গিয়ে কার্যত নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে পুর কর্তৃপক্ষগুলির।
প্রশাসনের একাংশ উদাহরণ হিসেবে জানিয়েছে, আগে হাবড়া পুরসভায় প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আয় হতো। এখন তা কমে প্রায় ২০ লক্ষ টাকায় নেমে গিয়েছে। সব পুরসভার পরিস্থিতি কমবেশি একই রকম। চতুর্দশ কমিশনের টাকা আসায় বর্ষায় বেহাল রাস্তাঘাট সংস্কার, নতুন রাস্তা নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতেও নানান কাজ করা যাবে। তাতে ব্লিচিং পাউডার, মশা মারার তেল, করোনা মোকাবিলার জন্য জীবাণুনাশক, সাফাই কর্মীদের জন্য নানান সরঞ্জামও কেনা সম্ভব হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ জুন রাজ্যের ১২৫টি পুরসভার জন্য চতুর্দশ অর্থ কমিশন থেকে মোট প্রায় ৬৮৮ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার তিন মহকুমার আটটি পুরসভার ভিতর সব থেকে বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বারাসতের জন্য। দ্রুততার সঙ্গে বরাদ্দকৃত টাকায় উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার জন্য পুরসভাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়েছে।