বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলাহাট ফের চালু করার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ আসেনি। হাটের স্বাভাবিক কেনাবেচা চালু হলে এত মানুষের জমায়েত হবে যে, সেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কার্যত অসম্ভব। হাওড়ায় করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত এখনও চলছে। আবার এই হাট হাওড়া শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এতটা জায়গা জুড়ে বসে যে, তার লাগোয়া এলাকায় রয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতাল, আদালত, পুলিস সুপার ও জেলাশাসকের কার্যালয় সহ জেলার প্রধান কার্যালয়গুলি। ফলে হাট পুরোদমে চালু হলে এখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে বলেই প্রশাসনের কর্তাদের মত। করোনা সংক্রমণের জন্য ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলা হাসপাতাল কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল। ফের এরকম পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেই দিকটি মাথায় রেখেই চলতে হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা। হাওড়া হাট সমন্বয় কমিটির তরফে শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন, অঙ্কুরহাটি, মেটিয়াবুরুজ বা হরি সাহা হাট চালু হয়ে গিয়েছে। ফলে আমাদের এতদিনের ধরাবাঁধা ক্রেতারা অনেকেই বাধ্য হয়ে সেসব জায়গায় চলে যাচ্ছেন। ফলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আমরা আর ওই ক্রেতাদের ফিরে পাব না। ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠবে। তাঁর আরও দাবি, কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট চালু করা যায়, সেই বিষয়ে তাঁরা প্রশাসনকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। কিন্তু একাধিকবার প্রশাসনের নানা স্তরে আবেদনের পরও অনুমতি না মেলায় দুশ্চিন্তার মেঘ জমাট হচ্ছে। শুধুমাত্র হাওড়া নয়, প্রত্যক্ষভাবে এই হাটের সঙ্গে চার-পাঁচটি জেলার বহু মানুষের রুটিরুজি জড়িত। ফলে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশাসন যাতে বিষয়টি দেখে, সেই দাবিই করছেন তাঁরা।