বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
কলকাতা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে পৌনে ন’টা নাগাদ ৪২/৩২ বিদ্যাসাগর সরণীর নিজের বাড়িতে নাইলনের দড়ি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন কাজলবাবু। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে হরিদেবপুর থানার পুলিস একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেই নোটেই কাজলবাবু লিখে গিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। এমনকী তাঁকে ছেড়েও চলে গিয়েছে। তিনি একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। সেই চাকরিও আর নেই তাঁর। কলকাতা পুলিসের ডিসি (সাউথ ওয়েস্ট) নীলাঞ্জন বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই সব কারণেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিস খতিয়ে দেখছে সুইসাইড নোটের হাতের লেখা কাজলবাবুর কি না।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর কালীপুজোর রাতে হরিদেবপুরের বড়ির সামনে পিসি ও ঠাকুমার সঙ্গে বাজি ফাটাচ্ছিল আদি। সেই সময় আচমকাই একটি তুবড়ি ফেটে তার গায়ে লাগে এবং সে মারা যায়। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, বিস্ফোরণের ফলে তুবড়ির পোড়ামাটির খোলের একটি টুকরো স্প্লিন্টারের মতো তীব্র গতিতে আদির গলায় বিঁধে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলের মৃত্যুর পর থেকে নানা কারণে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হতো কাজলবাবুর। এই দাম্পত্য কলহ থেকেই স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে সংসার ছেড়ে চলে যান। ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু ও সংসার ভেঙে যাওয়ায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন কাজলবাবু। তার উপর লকডাউনে চাকরি যাওয়ায় আর মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেননি তিনি।