বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, ঘিঞ্জি শহরের অলিগলির কোথায়, কতটা খারাপ অবস্থা হয়ে আছে, কোথায় দীর্ঘদিন জল জমে রয়েছে বা কোন এলাকায় মশার উৎপাত অস্বাভাবিক রকম বেড়ে গিয়েছে— এসব তথ্য অনেকের আগে পান সাফাইকর্মীরা। প্রত্যেকদিন সকালে জঞ্জাল সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি যেতে হয় বলে খবরাখবরও তাঁদের কাছে থাকে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোন এলাকায় লার্ভানাশক তেল ছড়াতে হবে, তা এই কর্মীরাই জানাবেন ভেক্টর কন্ট্রোল মজদুরদের। তাছাড়া কোথাও নিকাশি বিভাগের কোনও কাজ থাকলে, তাও পুরসভার নজরে এনে দেবে এই দল। তবে ছোটখাটো কোনও কাজ হলে তা ওই সাফাইকর্মীরাই করে দিতে পারবেন। সেইজন্য একসঙ্গে টিমের তিনজন সদস্যই একটি ‘স্পট’-এ থাকবেন।
হাওড়া পুরসভা এলাকায় চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত কোনও ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর না-থাকলেও আগের অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। বর্ষা চলে যাওয়ার সময় অর্থাৎ পুজোর দিকে সাধারণত ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। তাই এখন থেকে একদিকে জনগণকে সচেতন করা, কোথাও জমা জল না রাখা, জ্বর হলে রক্তপরীক্ষা করানোর মতো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষিত টিমকে সংগঠিতভাবে কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে চাইছে হাওড়া পুরসভা।
তবে শহরের নানা জায়গায় যেভাবে দিনের পর দিন জল জমে থাকার অভিযোগ আসছে, তাতে এই তৎপরতার পরও ডেঙ্গুর আশঙ্কা কতটা কমানো যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে পুরসভার অন্দরেই। পুরসভার ফেসবুক পেজেও বহু মানুষ এই ধরনের অভিযোগ জানাচ্ছেন। করোনা সংক্রান্ত কাজের জন্য এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজে পুরকর্মীদের একটা বড় অংশকে কাজে লাগানো হয়েছে। এই অবস্থায় সীমিত লোকবল নিয়ে ডেঙ্গু ঠেকাতে কাজ করা যে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের, সেই কথা স্বীকার করছেন পুরকর্তারা।