বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
সম্প্রতি এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পুর-কমিশনার বিনোদ কুমার। যা কার্যকর করতে বিভিন্ন বিভাগের কাছে প্রয়োজনীয় কম্পিউটার, স্ক্যানার এবং ইন্টারনেট সংযোগের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ই-অফিস ব্যবস্থা বাস্তবায়িত করতে এই সমস্ত সামগ্রী আরও কত প্রয়োজন, সেটা জানতে চেয়েছেন কমিশনার। পুরসভায় ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থা অনেকদিন ধরেই চালু রয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে ফাইল ট্র্যাকিং সিস্টেমও চালু হয়েছে। সেইসময় এই পরিকাঠামো গড়ার জন্য প্রায় ১৮-২০ কোটি টাকার আনুমানিক খরচের হিসেব কষেছিল কর্তৃপক্ষ। যদিও ধাপে ধাপে সেই টাকা খরচ করা হতো। বর্তমানে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগে অনলাইনের ৪৬টি মডিউল রয়েছে। এতদিন ম্যানুয়াল এবং অনলাইন—দুই পদ্ধতিতেই ফাইল চালাচালি হতো। কিন্তু করোনা-পরিস্থিতিতে এবার সেই অনলাইন পরিকাঠামোর পরিধিকেই আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের যে পেপারলেস ই-অফিস ব্যবস্থা রয়েছে, সেটাই এবার কলকাতা পুরসভায় চালু করা হবে। সেক্ষেত্রে ফাইল ‘রিসিভিং’ থেকে শুরু করে ‘ডেসপ্যাচ’—সবটাই হবে অনলাইনে। আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে ‘নোট’ চালাচালিও করবেন ই-অফিসে। আপাতত বিভাগীয় শীর্ষ আধিকারিকদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। আগামী দিনে নিচুতলা পর্যন্ত তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে, যতদিন প্রশাসনিক কাঠামোর একদম তৃণমূল স্তরে এই ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব না হচ্ছে, ততদিন পুরসভার পুরোপুরি ‘পেপারলেস’ হওয়া সম্ভব নয়। তবে পুরনো ব্যবস্থার তুলনায় এই নতুন ই-অফিস ব্যবস্থা আরও বিস্তৃত এবং স্মার্ট হবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা।
আইটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, পুরসভার যাবতীয় কার্যকলাপ ধীরে ধীরে অনলাইনে নিয়ে আসা হবে। এতে কাজে গতি আসবে। এই ব্যবস্থায় কোন ফাইল কী অবস্থায় রয়েছে, তার উপর নজর রাখা যেমন সম্ভব হবে, তেমনই স্বচ্ছতা বজায় রাখাও সম্ভব হবে।