বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
অনেকেরই বক্তব্য, পুর কর্তৃপক্ষ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়ায় এবং সেই সঙ্গে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির কারণেই এই জরিমানার টাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে শহরে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় আর্থিক জরিমানার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা। ২০১৬ সালে আদায় হয় ৩২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে প্রায় ২৩ লক্ষ। আর ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটা লাফিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১ কোটিতে।
আদালত কর্মীদের কথায়, করোনা পরিস্থিতির সৃষ্টি না-হলে চলতি বছরের জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে বহু বেআইনি নির্মাণ মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যেত। তাতে আর্থিক জরিমানার টাকা আদায়ও অনেকটাই বাড়ত। কিন্তু, দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে অন্যান্য আদালতের মতো পুর আদালত বন্ধ থাকায় মামলার শুনানিও থমকে থাকে।
কলকাতা পুর আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই কোর্টের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে বেআইনি নির্মাণ সহ অন্যান্য মামলার সংখ্যা প্রায় হাজারখানেক। অন্যদিকে, এই কোর্টের আওতাধীন অন্য তিনটি পুর এজলাসে সেই সংখ্যাটা প্রায় ৯৫০-র মতো। কিছুদিন আগে এই আদালত চালু হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে মামলার শুনানি হচ্ছে না। কেবলমাত্র বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় জামিনের আবেদন ও অন্যান্য আদালতের কিছু আইনি প্রক্রিয়ার কাজ চলছে।
আইনজীবীদের কথায়, পুর আদালত অত্যন্ত সক্রিয় থাকায় বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৩০-৩৫ জন প্রোমোটারের কারাবাস পর্যন্ত হয়েছে। কলকাতা পুর আদালতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে মনে করেন তাঁরা।