বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শনিবার কলকাতা পুরসভায় এবিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কেএমডিএ, পরিবেশ দপ্তর ও বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, বনদপ্তর, পরিবেশ দপ্তর, কলকাতা পুরসভা এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটি স্থির করবে, গভীর শিকড় থাকা কোন গাছ রাস্তার পাশে রোপণ করলে সহজে ঝড়ে উল্টে যাবে না এবং একইসঙ্গে কোন কোন গাছ লাগানো হলে বাতাসের দূষণের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখবে। গাছ ভেঙে পড়া ফাঁকা জায়গাগুলিকে সবুজায়নের জন্যই ব্যবহার করা হবে বলেই তিনি জানান।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঝড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া শহরের সবুজায়ন করতে ৫০ হাজার গাছ লাগানো হবে। আগামী ৫ জুন পরিবেশ দিবসে সাদার্ন অ্যাভিনিউতে এই কর্মসূচি শুরু হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্ল্যান্ট ট্রি, সেভ লাইফ’।
প্রশাসকের কথায়, ঝড় থেকে শিক্ষা নিয়ে রাস্তার পাশে সব গাছ এবার থেকে লাগানো হবে না। বুঝে-শুনে এবং বিচার করেই বৃক্ষরোপণ করা হবে। নয়া কমিটি তিন থেকে চারদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। সেই অনুযায়ী, বনদপ্তর থেকে আমরা গাছ কিনব। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্কুল-কলেজের সামনের রাস্তায় গাছ সংরক্ষণ করা হবে। এবছরই সাড়ে ছ’কোটি গাছ লাগানো হবে। গাছের পরিচর্যায় স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে ছোট ছোট নার্সারি গাছের বদলে তিন বছর এবং ১০ বছর বয়সের গাছ লাগানোর ব্যাপারেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার পুরমন্ত্রী রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং একটি বিশেষ সংস্থার সাহায্যে কিছু ভেঙে পড়া গাছের ‘রিপ্ল্যান্টেশন’-এর কাজেরও সূচনা করেন। এদিন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে গাছগুলি পুনরায় লাগানো সম্ভব, তা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে করা শুরু হয়েছে। কিন্তু যেখানে একেবারে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, সেই খালি জায়গা কেউ দখল করবেন ভাবলে ভুল হবে। মানুষের এতে সমস্যা হবে। সেই ফাঁকা জায়গায় একটি গাছের বদলে তিনটি গাছ লাগানো হবে।