বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ছাত্রের নাম অরিন্দ্রজিৎ সরকার। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ কয়েকজন দুষ্কৃতী একটি ভ্যানে চুরি করা লোহার যন্ত্রাংশ পাচার করছিল। প্রগতি সঙ্ঘের মাঠের কাছে এক দোকানদার প্রথমে তাদের কাছে জানতে চায়, কোথায়, কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? এরপরেই দোকানদারকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তারা ভ্যান নিয়ে কিছুটা এগিয়ে যায়। কলেজ পড়ুয়া অরিন্দ্রজিৎ সহ পাড়ার আরও কয়েকজন যুবক তাদের তাড়া করে। সেই সময় দুষ্কৃতীরা প্রথমে শূন্যে একটি গুলি ছোঁড়ে। দ্বিতীয় গুলিটি চালায় পিছু ধাওয়াকারীদের লক্ষ্যে। সেই গুলি এসে কলেজ পড়ুয়ার বাঁ হাতে লাগে। এরপরেই দুষ্কৃতীরা ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ জখম যুবককে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে সুস্থ হয়ে উঠলে, তাঁকে ছুটি দিয়ে দেন চিকিৎসক। বাড়িতে শুয়ে তিনি বলেন, ওরা ভ্যানে করে লোহার ছাঁট পাচার করছিল। মোড়ের ওখানে অনেকেই ছিল। এক দোকানদারকে প্রথমে মারধর করে। ওদের তাড়া করলে, আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।
প্রসঙ্গত, চুরি করা লোহা পাচারের ঘটনা শ্যামনগরে নতুন কিছু নয়। শ্যামনগর, ভাটপাড়ায় লোহা ‘মাফিয়া’ বেশ কয়েকজন রয়েছে। দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে রেল লাইন, পুরনো কারখানা থেকে লোহার যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে এসে মাফিয়াদের কারখানায় জমা দেয়। কারখানায় ওই লোহা গুলিকে ‘ছাঁট’ করা হয়। তারপর ভ্যান বা ছোট লরিতে চাপিয়ে বাইরে পাচার করে থাকে মাফিয়ারা। এই কারবার চালিয়ে অনেকেই রাতারাতি অর্থবান হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, এই কারবার চালানোর ক্ষেত্রে শাসক দলের নেতা ও পুলিসের প্রশ্রয় রয়েছে। নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়ায় এই কারবারের আরও বেশি রমরমা। কাঁচরাপড়ায় এক লোহা মাফিয়া এখন শাসক দলের উঠতি নেতা।