কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
এই শোকের পরিবেশেই রবিবার ঋষভের বাড়িতে গিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। স্থানীয় রাজনীতিতে এমনিতেই সন্তোষ সিং, সাংসদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারপরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনার পর থেকে প্রায় প্রতিটা মুহূর্তে ঋষভের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন কল্যাণবাবু। শোকের আবহে তিনি বাড়িতে ঢুকতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্তোষবাবু। তাঁকে সান্তনা দিতে গিয়ে চোখ সজল হয়ে ওঠে সাংসদেরও। এদিন সকালে মন্ত্রী অসীমা পাত্র, তৃণমূলের শ্রমিক শাখার রাজ্য সভাপতি দোলা সেন ঋষভের বাড়ি গিয়েছিলেন।
এদিন ঋষভের বাবা তথা শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলার সন্তোষ সিংয়ের বাড়ি দেখা করতে গিয়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের পরিবহণ দপ্তর নিশ্চয় পুলকার সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেবে। বস্তুত, পুলকার দুর্ঘটনার দিন থেকে ঋষভ ও দিব্যাংশের জন্যে গ্রিন করিডর করে কলকাতায় পাঠানো সহ একাধিক বিষয়ে জড়িয়ে ছিলেন কল্যাণবাবু। দফায় দফায় কলকাতার হাসপাতালে গিয়ে ঋষভের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের পাশেও থেকেছেন। রবিবার ঋষভের বাড়িতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি সাংসদ। তাঁকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ঋষভের বাবা। অশ্রুসজল হয়ে ওঠে সাংসদের চোখও।
পরে কল্যাণবাবু বলেন, আট দিনের প্রবল লড়াই হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাচ্চাটা অকালে চলে গেল। খুব খারাপ লাগছে। এখানকার মানুষও খুব কষ্ট পেয়েছেন। পুলকার নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আমার বিশ্বাস রাজ্য পরিবহণ দপ্তর এনিয়ে পদক্ষেপ করবে। এদিন ঋষভের বাবা সন্তোষ সিং বলেন, কী করে যে কী হয়ে গেল, এখনও ভাবতেই পারছি না। বারবার মনে হচ্ছে একটা লোককে বিশ্বাস করে ছেলেকে তাঁর গাড়িতে পাঠালাম সে গাড়ি অন্যের হাতে ছেড়ে দিল। এটা কেন হবে? একটা শিশুর কী অপরাধ ছিল যে, এভাবে তাকে চলে যেতে হল।
এদিকে গত কয়েকদিনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই পুলকার নিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন। যা নিয়ে অভিভাবক মহলও আশাবাদী। তারা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব কোনও পদক্ষেপ করা হোক। পুলকার দুর্ঘটনায় এখনও চিকিৎসাধীন দিব্যাংশের দাদু শ্যামসুন্দর ভকত বলেন, পুলকার বন্ধ হলে যাতায়ত করা কঠিন। সেক্ষেত্রে পুলকারগুলিতে আইনের বাঁধন কড়া করা হোক, এটাই আমরা চাইব। সেই কাজ যত দ্রুত হবে তত আমাদের মতো অভিভাবকরা আশ্বস্ত হবে।