কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
‘ওয়েজ অব রিমেমবারিং জালিয়ানওয়ালাবাগ অ্যান্ড টেগর্স রেসপন্স টু দি ম্যাসাকর’ নামে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন হবে আগামী ২ মার্চ। তবে আর পাঁচটি প্রদর্শনীর থেকে কিছুটা আলাদা হবে এটি। অডিও-ভিজুয়াল, অর্থাৎ শব্দ এবং ছবির সাহায্যে সেটি তৈরি করা হবে। যার কাজ এখন জোরকদমে চলছে। সেই বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদ বাংলা কীভাবে জানিয়েছিল, তা যেমন তুলে ধরা হবে, তেমনই থাকবে ওই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের নানা বক্তব্য। জালিয়ানওয়ালাবাগ ছাড়াও অমৃতসরের নানা অলিগলিতে ব্রিটিশ পুলিসের অত্যাচারের চিহ্নও রয়েছে। তারও বেশ কিছু ছবি সংগ্রহ করেছে গবেষকদের দল। সেই সব কিছুও প্রদর্শনীতে রাখা হবে।
এই প্রদর্শনীর কিউরেটর শর্মিষ্ঠা দত্তগুপ্ত এবং শিল্প নির্দেশক সঞ্চয়ন ঘোষ। শর্মিষ্ঠাদেবী বলেন, জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার পর রবীন্দ্রনাথ নাইটহুড ত্যাগ করেছিলেন, তা আমরা সবাই জানি। চিঠি লিখে সেটি জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না কবিগুরু। এই ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবিতে একাধিক চিঠি লিখেছিলেন তিনি। লন্ডনে গিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথাও বলেন। ওই সময় এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি লেখা হয়েছিল। সেসবের প্রতিলিপিও থাকবে প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীতে আরও চমক রয়েছে। ওই ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের বর্তমান সদস্যদের নানা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হবে। এই প্রদর্শনীর সঙ্গে যুক্ত গবেষক দল অমতৃসরে ওই সব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে। কীভাবে পরিজনরা মৃতদের শনাক্ত করেছিলেন, মৃত্যুর খবরই বা কীভাবে পেলেন তাঁরা, এমন নানা অজানা তথ্য ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দেখানো হবে সেখানে। জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার পর বাংলার পত্রপত্রিকায় কীরকম লেখালেখি হয়েছিল, তাও থাকছে এই প্রদর্শনীতে।
তবে উদ্যোক্তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ১০০ বছর আগের সেই নারকীয় ঘটনাকে কোনওভাবেই পুনর্নিমাণ করা হচ্ছে না। বরং নানা ছবি, লেখা, শহিদ পরিবার পরিজনদের অভিজ্ঞতার (অডিও-ভিজুয়াল) মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সেই ঘটনাকে অনুভব করতে পারবেন। শর্মিষ্ঠাদেবীর কথায়, যে সব তথ্য এখানে থাকবে, তা রবীন্দ্রচর্চার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই মূলত জানবেন। আমরা তাই ব্রিটিশ লাইব্রেরি, ন্যাশনাল আর্কাইভ (দিল্লি), শান্তিনিকেতনে থাকা কবিগুরুর দুষ্প্রাপ্য চিঠি সংগ্রহ করে এনেছি। এই প্রদর্শনী যদি আগামী দিনে অন্য কোনও সংস্থা আয়োজন করতে চায়, তাহলে তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এই গবেষকদল। যে পরিকাঠামো ভিক্টোরিয়ায় তৈরি করা হবে, সেটিই বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।