সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
ঝান্ডা না থাকলেও বিক্ষোভকারীরা মূলত ছিলেন টিএমসিপির সমর্থক। হাতেগোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া থাকলেও সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী এসেছিলেন কলকাতার বিভিন্ন কলেজ থেকে। ৫০-৬০ জন আগে থেকেই প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে দর্শকাসনে বসেছিলেন। হঠাৎই তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। ‘গো ব্যাক ধনকার’, ‘ওয়েলকাম অভিজিৎ’ স্লোগানে গমগম করতে থাকে প্রেক্ষাগৃহ। অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিতে হয়। সহ-উপাচার্য (অর্থ) মীনাক্ষি রায় এবং সহ উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় বারবার আবেদন জানান থামার জন্য। তাতে কাজ হয়নি। এরপর উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বলেন, রাজ্যপাল মঞ্চে আসবেন না। আমি কথা দিচ্ছি। তোমরা শান্ত হয়ে বসো। এর কিছুক্ষণ পরেই তুমুল হর্ষধ্বনি দিয়ে হল ছেড়ে বেরিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। যদিও কিছু ডিগ্রিপ্রাপক দাবি করেন, আমরা আচার্যকে চাই। কিন্তু সেটা আমল পায়নি।
সূত্রের খবর, গাড়ি থেকে নেমে ধনকার বলেন, বিক্ষোভকারীদের মুখ তো পরিচিত। এরা যাদবপুরেও ছিল। তখন তাঁকে বলা হয়, এরা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নয়। বিভিন্ন কলেজ থেকে এসেছে। প্রেক্ষাগৃহের ভিতরেও তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত। গেস্ট রুমে উপাচার্য এসে বিব্রতভাবে রাজ্যপালকে বলেন, পড়ুয়ারা চাইছেন না আপনি অনুষ্ঠানে থাকুন। আমি নিরুপায়। একথা শুনে অভিজিৎবাবু বলে ওঠেন, এই ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যেও তাঁর ডি লিট নিতে কোনও সমস্যা নেই। তখন আচার্য জগদীপ ধনকার উপাচার্যকে বলেন, আমি নিজেই এসেছিলাম, নিজেই চলে যাচ্ছি। আপনাকে বিব্রত হতে হবে না। কিছুক্ষণ বাদে তিনি বেরিয়ে গেলেও পরে ট্যুইটারে লেখেন, সমাবর্তন ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হলেও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে কোনও আপস করিনি। অভিজিৎবাবুকে যে সাম্মানিক ডি লিট আমরা দিচ্ছি, সেই শংসাপত্র তাঁর এবং উপাচার্য সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে আমি সই করেছি। বিকেলে ধনকার আরও একটি ট্যুইটে এই ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা বলে সমালোচনা করেছেন। অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য সাংবাদিকদের কাছে রাখঢাক না করেই জানান, আচার্যকে বলেছিলাম, পড়ুয়াদের একাংশ চাইছে না আপনি মঞ্চে আসুন। এটা শুনে উনি নিজেই চলে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। বিধি অনুযায়ী, তাঁর অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের পৌরোহিত্য করি আমি। পরে তিনি জানান, এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতির জন্য আমি দুঃখিত। -নিজস্ব চিত্র