বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শনিবারই রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখনই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলে। সোমবার বিকেল থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। সেদিন রাতেই তাঁকে তালতলার ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের লোকজনদের কথায়, অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ওই বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছতেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে ঢোকানো হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিজনরা। তাঁদের কথায়, ডেঙ্গু নিয়ে পরিবারের লোকেদের সচেতন করতেন সান্ত্বনা। সব সময়ই বলতেন, চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘরে ঘরে যেভাবে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে, তা নিয়ে ওই স্বাস্থ্যকর্মী সতর্ক ছিলেন। কিন্তু তারপরেও এমন ঘটনায় রীতিমতো হতবাক তাঁর পরিজনরা। এদিন তাঁরা বলেন, মঙ্গল-বুধবার ওই গৃহবধূর জ্বর এলেও তেমন বাড়বাড়ন্ত হয়নি। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। শনিবার তারমধ্যেই তিনি কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাঁরা ঘরে ঘরে ডেঙ্গু বা অজানা জ্বর খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়? সান্ত্বনাদেবীর আত্মীয়দের কথায়, ডেঙ্গু রোগ খুঁজতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল তাঁদের ঘরের মানুষকে। কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকছে না? যেভাবে সংক্রামক হয়ে উঠছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েও।
এদিকে, শনিবার ভোররাতে টালিগঞ্জের নেপাল ভট্টাচার্য ফার্স্ট লেনের বাসিন্দা শরণ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর এদিন তাঁর বাড়ির এলাকায় গিয়ে শোনা গেল, ওই এলাকায় একাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এলাকায় সাফাইকাজ পর্যাপ্তভাবেই হয়। কিন্তু অনেক জায়গায় জল জমে থাকছে। সেখানে মশার আঁতুড়ঘর তৈরি হচ্ছে।
কলকাতার পাশাপাশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আবার উত্তর ২৪ পরগনার এক বাসিন্দার মৃত্যু হল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল উত্তর বারাকপুর পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের পলতার বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র সমাদ্দারের। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। তাঁকে বি এন বসু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তাঁর রক্তের নমুনায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ২৬ নভেম্বর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনা পড়শিদের ক্ষোভ বেড়ে যায়। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় মশার বাড়বাড়ন্ত রুখতে পুর প্রশাসন ব্যর্থ। চারপাশে মশার লার্ভা। যার ফলে এলাকায় একাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।