বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বাসন্তীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আব্দুল মান্নান গাজির অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে বাসন্তীর বিভিন্ন এলাকায় এক পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে যুবর হার্মাদ বাহিনী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে বোমাবাজি করছে। গুলি চালিয়ে এলাকায় মানুষকে সন্ত্রস্ত করে তুলছে। তিনি এদিন দাবি করেন, সইফুদ্দিন বাড়ি থেকে নেবুখালি বাজারের দিকে আসছিল। তখনই ওই পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে যুবর সশস্ত্র বাহিনী বোমা-গুলি চালিয়ে সইফুদ্দিনকে খুন করেছে। সইফুদ্দিনের চোখের নীচে গুলি লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জেলার যুব নেতাদের নেতৃত্বেই এখানেই গত কয়েক মাস ধরেই দুষ্কৃতীরাজ চলছে। গোটা বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে বারবার জানিয়েছি। এদিকে, ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের যে প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ইউসুফ মোল্লার কথায়, আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম, সোমবার রাতে নেবুখালির মাদ্রাসার কাছে মাঠ দখল করতে মাদার সংগঠনের লোকজন আসছে। ওরাই এলাকায় সন্ত্রাস করছে। বোমাবাজি করছে। আমাদের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যে মারা গিয়েছে, তা ওদের নিজস্ব দ্বন্দ্বেই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত গঠনের পর থেকেই তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে এলাকা দখলের চেষ্টা চলছে। যুব তৃণমূলের হাতে থাকা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতকে যুববাহিনী একদিকে যেমন ধরে রাখতে সক্রিয়, তেমনই ওই গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে দলের মাদার সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। পাশাপাশি, এলাকা দখল, মাছ ভেড়ির দখল সহ একাধিক বিষয় তো রয়েছেই। এই নিয়েই কার্যত বাসন্তী এলাকায় অশান্তি চলছে। গত তিনদিন ধরে বাসন্তীর নির্দেশখালি, ফুলমালঞ্চ শাসকদলের যুব’র কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মাদার সংগঠনের কর্মীদের লাগাতার সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখমের পাশাপাশি বোমা-অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিস। এদিনও সংঘর্ষের পরে পুলিসকর্তারা ঘরে ঢুকে ঢুকে তল্লাশি চালাতে থাকেন। পুলিস এদিন দিনভরের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।