বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন আমতার ওই ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চুরি হয়। পরে ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে আমতা থানার পুলিস চুরির তদন্তে নেমে সিসি টিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। তাতে দেখা যায়, এক যুবক দুপুরে ব্যাঙ্কে ঢোকার পরে তার হাতে থাকা পাটকাঠি ক্যাশ কাউন্টারের ভিতরে ঢুকিয়ে টাকা বের করে নিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এরপর কয়েকদিন কেটে গেলেও পুলিস অভিযুক্ত যুবকের কোনও সন্ধান না পেলেও সোমবার দুপুরে ফের টাকা চুরির উদ্দেশ্যে সাহেব দাস ব্যাঙ্কে ঢুকলে কর্মীরা তাকে চিনতে পেরে ধরে ফেলেন। পরে আমতা থানার পুলিস ব্যাঙ্কে গিয়ে সাহেব দাসকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস ধৃত যুবককে জেরা করে কিছু টাকা উদ্ধার করলেও বাকি টাকার সন্ধান এখনও পায়নি।
এদিকে, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি করা প্রসঙ্গে সাহেব দাস বলেছে, নিজের সেভাবে কোনও আয় না থাকায় বাজারে প্রচুর টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল। মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে অভাবের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। সেই অশান্তির হাত থেকে বাঁচতে এবং দেনা মেটাতে টাকা সে চুরির পরিকল্পনা করে। সেই মতো ষষ্ঠীর দিন দুপুরে একটি পাটকাঠির মাথায় সেফটিপিন আটকে সেটিকে নিয়ে ব্যাঙ্কে ঢোকে। তারপরে লাঞ্চের সময় ক্যাশ কাউন্টার ফাঁকা হতেই হাত গলিয়ে কাউন্টারের ভিতর থেকে টাকা বের করে আনে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি করার পর সেই টাকা দিয়ে বাজারে দেনা শোধ করার পর হাত খালি হয়ে যাওয়ায় ফের টাকা চুরির জন্য সোমবার ব্যাঙ্কে ঢুকলে কর্মীরা তাকে ধরে ফেলেন এবং পুলিসের হাতে তুলে দেন।