বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুরোহিত মণ্ডলীর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৯৮ জন। ১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় কমিটি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তিন বছর অন্তর কমিটি গঠন হয়। গত কয়েক বছর আগে ভোটাভুটি ছাড়া সর্বসম্মতিক্রমে কমিটি গঠন হয়েছিল। সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তারকেশ্বর পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অমিতাভ হাজরা। এরপরের কমিটি গঠনের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়। মোট ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত রবিবার থেকে আজ, মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগত কারণ দর্শিয়ে ৪ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ জন।
তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত পার্থসারথি মজুমদার বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের নির্বাচন হয়। পুরোহিত মণ্ডলীর যে কোনও সমস্যার সমাধানে এই কমিটি কাজ করে। এছাড়াও তীর্থযাত্রী, প্রদর্শক সঙ্ঘ সকলের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় কমিটি। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ১৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ইতিমধ্যেই পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৪ জন তা প্রত্যাহার করেছেন। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না তা আমাদের জানা নেই। তবে কিছু মানুষ নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আমাদের অনুমান।
সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী ৯ জন সদস্য হলেই কমিটি গঠন করা যাবে। পুরোহিত মণ্ডলীর সম্পাদক তথা তৃণমূল কাউন্সিলার অমিতাভ হাজরা বলেন, আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। গতবার আমাকে সর্বসম্মতিক্রমে সম্পাদক করা হয়েছিল। কমিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পদাধিকারী হওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। ব্যক্তিগত কারণে ইতিমধ্যেই শুনছি অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। সম্পাদক হিসেবে যেভাবে কাজ করেছি, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আমি সব থেকে বেশি ভোটে জয় লাভ করতাম। সব মিলিয়ে ৩১ অক্টোবর নির্বাচন কতটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন তারকেশ্বরবাসী।