কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
চেয়ারপার্সন রীতা পাল অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। যদিও বজবজ থানা সূত্রে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। জেলা পুলিসের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, বাইরে থেকে কয়েকশো অচেনা মুখ জড়ো হয়েছিল। অনেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। পুলিসের কাছে খবর ছিল, পুরসভা দখল করার পরিকল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিসের হস্তক্ষেপে বড় গোলমাল হওয়ার আগে ঠেকানো গিয়েছে। পুজালি পুরসভার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অনেকদিন ধরে তৃণমূলের একটি প্রভাবশালী শিবিরের হাতে ছিল। গত পুর নির্বাচনের সময় আইনের গেরোতে চেয়ারপার্সন হয়ে যান রীতা পাল। অভিযোগ, রীতা পালকে সেই প্রভাবশালী অংশ কবজা করতে না পারার জন্য মন কষাকষি থেকে তা সংঘাতে চলে যায়। তার জেরে কাউন্সিলারদের মধ্যে বিভাজন হয়। এরপর থেকে পুরসভাতে চেয়ারপার্সনের সঙ্গে পাল্টা শিবিরের বিরোধ বাড়তে থাকে। লোকসভা নির্বাচনের জন্য বেশ কয়েকমাস বোর্ড মিটিং হয়নি। সেই কারণে মঙ্গলবার বিকেলে বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল। একাধিক এজেন্ডার সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে পুরসভার একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মীর ফের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি ছিল। মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে চেয়ারপার্সন শিবির থাকলেও বিরোধীতা করে পাল্টা শিবির। একে ঘিরেই মিটিংয়ে গোলমাল হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাইরে প্রচুর লোক জমায়েত হয়। গালিগালাজ চলে। মিটিংয়ের মধ্যে এর বিরোধীতা শুরু হয়। বিরোধী শিবির থেকে মেয়াদ বাড়ানো যাবে না বলে ১০ জন কাউন্সিলারের স্বাক্ষরসহ চিঠি জমা দেওয়া হয়। যদিও চেয়ারপার্সন শিবির সেখানে ওই মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে আইন তুলে ধরে। বলা হয়, চুক্তিভিত্তিক ওই কর্মীর বেতন রাজ্য সরকার দিয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবে এক্ষেত্রে কাউন্সিলারদের কোনও আপত্তি গ্রাহ্য হবে না। চেয়ারপার্সন একক সিদ্ধান্তে মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনুমোদন দিতে পারে বলে আইনে সুস্পষ্ট বলা রয়েছে।