কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যেপাধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানান, বৃহত্তর কলকাতায় আরও কয়েকটি আবহাওয়া কেন্দ্র তৈরি করার পরিকল্পনা তাঁদের আছে। আবহাওয়া কেন্দ্র তৈরি হলে আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পূর্বাভাস আরও ভালোভাবে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। প্রাক বর্ষা মরশুমে অনেক সময় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়। কলকাতার কোনও জায়গায় বৃষ্টি হয়। আবার কোথাও বৃষ্টি হয় না। সল্টলেক ও সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি হলে তার পরিমাণ এখান থেকে জানা যাবে। আবহাওয়া দপ্তরের মাপকাঠি অনুযায়ী সল্টলেকের কেন্দ্রটির মান প্রথম শ্রেণীর। বায়ুর অভিমুখ ও গতিবেগ পরিমাপ করার ব্যবস্থা এখানে থাকছে। তবে ঝড়ের গতিবেগ মাপার ব্যবস্থা এখানে থাকছে না। ঝড়ের গতিবেগ মাপার ব্যবস্থা আলিপুর ও দমদমে থাকছে।
রাজ্যের সব জেলাতেই আবহাওয়া দপ্তরের কেন্দ্র আছে। যেখানে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি পরিমাপ করা হয়। নতুন যে জেলাগুলি হয়েছে, সেখানেও আবহাওয়া কেন্দ্র চালু হয়েছে বলে সঞ্জীববাবু জানিয়েছেন। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, নতুন আবহাওয়া কেন্দ্র চালু করতে গেলে শুধু যন্ত্র বসালেই হয় না। প্রশিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনীয় কর্মী ব্যবস্থা করেই নতুন কেন্দ্র চালু করতে হয়।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা পরিমাপ করার আন্তর্জাতিক নিয়ম আছে। খোলা জায়গায় কাঠের বাক্সের মধ্যে কিছুটা উচ্চতায় থার্মোমিটার রাখা হয়। ওই বাক্সের মধ্যে হাওয়া ঢোকার ব্যবস্থা থাকে। কারণ হাওয়ার তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। এখন শহরের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক বোর্ডে তাপমাত্র দেখানোর ব্যবস্থা আছে। সঞ্জীববাবু জানিয়েছেন, সেন্সারের মাধ্যমে সেখানে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। সেন্সার ঠিকঠাক কাজ করলে তবেই সেখানে সঠিক তাপমাত্রা পাওয়া সম্ভব।