কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
কোথায় কোথায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা রয়েছে? স্থানীয় ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধাননগর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কৈখালির মালিরবাগানে নিকাশি ব্যবস্থার হাল খুব খারাপ। এখানে নিকাশি নালা সঙ্কীর্ণ হওয়ায় সমস্যা বেশি। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা থেকে চিনারপার্ক মোড় পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তায় প্রতিবার বর্ষায় আবাসনগুলির সামনে এক হাঁটু জল জমে। এছাড়া এই ওয়ার্ডের দাসপাড়ায় কাঁচা নালা রয়েছে। তাই এখানে ভালো নিকাশির অভাবে জল জমার সমস্যা রয়েছে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সর্দারপাড়ায় জল জমার সমস্যা সবথেকে বেশি। এখানে রাস্তায় জল জমে। বর্ষায় অনেকের ঘরেও জল ঢুকে যায়। পূর্বাচল, অরুণাচল, সুভাষপল্লি, শ্রীমাপল্লিতেও এই সমস্যা বেশ ভোগায়। এই এলাকায় সুলুঙ্গুরিতে জল পাশ হবার জন্য এবার নতুন ড্রেন সংযোগ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, শ্রীমাপল্লিতে ড্রেন ছিল না। ড্রেন করা হয়েছে। ফলে গতবারের থেকে এবার কিছুটা সুরাহা হতে পারে বলে আশা করছেন বাসিন্দারা। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেন রাস্তার তুলনায় পাশে থাকা বাড়ি বা বসত এলাকার জমি নিচু হওয়ায় অনেক জায়গায় জল জমত। কিছু জায়গায় পাম্প বসানো হয়েছে। ফলে এখন জল বেশিক্ষণ জমে থাকে না। তবে সরকারবাগান যাত্রী ক্লাবের দিকটায় জল জমার সমস্যা রয়েছে।
স্পেসটাউনের পিছনের দিকেও সমস্যা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুন্দুমি ক্লাবের কাছে একটি পাম্প বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওটা বিধাননগর পুরসভা ও দমদম পুরসভার বর্ডার। সমস্যার কারণে সেখানে পাম্প বসানো যায়নি। এছাড়া স্থানীয় ক্যানালে জল বেড়ে গেলে সাহাপাড়া, প্রতিবেশীপাড়ার দিকে জল জমে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জ্যাংড়া চৌমাথা থেকে বাজারের দিকে ঢালু জায়গায় বৃষ্টি হলে জল জমে। এমনকী বাজারেও জল জমে যায়। সেখানে এখন নতুন করে রাস্তা হচ্ছে। বর্ষায় আদৌ এখানে কোনও সুরাহা হয় কি না, সেটাই দেখার। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যা আগেরবারেও ছিল। তবে এখন রাস্তা উঁচু করে দেওয়ায় জল জমবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সুপার মার্কেটের কাছে রাস্তা ঢালাই হচ্ছে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিচু জায়গা উঁচু করা হয়েছে। ফলে জল জমা থেকে এবার নিস্তার মিলবে মনে করা হচ্ছে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জল জমলে পাম্প করে তুলে দেওয়া হয়। ওই এলাকায় জলা জায়গায় বসবাস করে এমন পরিবারও রয়েছে। তাঁদের দুর্ভোগ থাকছেই। চণ্ডীবেরিয়ার মেন রাস্তা থেকে ভিতরের দিকে গোবিন্দনগর, শান্তিময়নগর, আনন্দপল্লিতে জল জমার সমস্যা রয়েছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যাসাগর পল্লির পুরোটাতেই জল জমার সমস্যা আছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় জল জমার সমস্যা আছে। নেতাজি সমবায় আবাসনের সামনে ১৫-২০ মিনিট বৃষ্টি হলে জল জমে যায়। ভিআইপি রোডের কাছে এই জায়গা। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। গৌতমপাড়ায় জল জমে। এখানে জল খালে ফেলার জন্য রবীন্দ্রপল্লি, এসএস সরণীতে পাম্প বসানো হয়েছে। খালের জল উপচে গেলে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জল জমে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণমাঠ ও পিটারবাগানে জল জমার সমস্যা রয়েছে। তবে এবার সেখানে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনেজ সিস্টেম হওয়ায় জল জমার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তবে ভিআইপি রোডে জল জমলে জল পাশ হতে না পেরে এই ওয়ার্ডে জল জমতে পারে। ২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোষপাড়ায় জল জমত। নতুন ড্রেনেজ সিস্টেম হওয়ায় সেখানে জল এবার জমবে না বলে মনে করা হচ্ছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নেতাজিপল্লি নিচু হওয়ায় অন্যান্যবারের মতো সেখানে এবারও জল জমতে পারে। এছাড়া রাজারহাট এলাকার দিকে বেশ কিছু জায়গায় জল জমার দীর্ঘদিনের সমস্যা এবারও ভোগাবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেশি বৃষ্টি হলে শান্তিনগর, নাওভাঙা, বাসন্তীদেবী কলোনিতে জল জমতে পারে।