নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: নদীয়া জেলায় এক মাসে ২৮০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল পুলিস। কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে লাগাতার অভিযানে এই বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে লাগাতার গাঁজা পাচার হওয়ার উদ্বেগ বেড়েছে পুলিস প্রশাসনের। কারণ এক মাসেই গাঁজা পাচার নিয়ে চারটে মামলা রুজু হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কিনা সেই তদন্ত চলছে। গাঁজা পাচারে ধৃতদের ফোনের কল রেকর্ড চেক করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, ধৃতদের মধ্যে আগে কখনও ফোনে কথা হয়েছে কিনা। তবে গাঁজা পাচার নিয়ে সীমান্তের নদীয়া জেলায় নতুন সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পুলিস মহলে। কারণ ঘটনাচক্রে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি ঘটনায় করিমপুরের নাম উঠে এসেছে। কখনও করিমপুর এলাকা থেকেই গাঁজা উদ্ধার হচ্ছে। কখনও আবার করিমপুরে গাঁজা ডেসপ্যাচ করতে যাওয়ার সময়ে তা বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। মূলত ওড়িশা থেকেই সেই গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছে। কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার এক অফিসার বলেন, আমরা ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পাশাপাশি বিগত একমাসে গাঁজা পাচার নিয়ে কোনও গ্যাং সক্রিয় হয়েছে কিনা সেই দিকেও নজর রাখা হয়েছে।
ভোটের ফলাফল মিটতেই কৃষ্ণনগর পুলিস বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১২ জুন। ফলের গাড়িতে করে প্রায় ৫০ কেজি গাঁজা হোগলবেড়িয়া নিয়ে যাচ্ছিল পাচারকারী। নবদ্বীপ সংলগ্ন জাহাঙ্গিরপুরের কাছে নাকা চেকিংয়ের সময়ে কোতোয়ালি থানার পুলিস পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে হোগলবেরিয়া থেকে মালিকও গ্রেপ্তার হয়। ফলের বস্তার আড়ালে সেই গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিল পাচারকারী। তারপর কিছুদিন শান্ত ছিল গাঁজা পাচার চক্র। গত মাসের ২৮ জুন, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও করিমপুর থানার যৌথ অভিযানে ১৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। এই গাঁজা পাচারে আন্তঃজেলা চক্র সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।