শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বিদ্যুৎ দপ্তরের খামখেয়ালিপনার মাশুল তাঁদের দিতে হচ্ছে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রতিবাদে বুধবার সকালে সাগরদিঘিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। জঙ্গিপুর আজিমগঞ্জ রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। অবরোধে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়। সাগরদিঘি থানার পুলিস এসে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। এলাকার নতুন ট্রান্সফর্মার সহ পুরনো কেবল বদলেরও দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সাগরদিঘি ব্লকের বিডিও সঞ্চয় শিকদার বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। বিদুৎ দপ্তরের কর্মীরা এলাকায় গিয়েছিলেন। সমস্যা মিটে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসাদুল শেখ বলেন, এতদিন এলাকায় লো ভোল্টেজের সমস্যা ছিল, রাতে হঠাৎই ভোল্টেজ বেড়ে গিয়ে গ্রামের সবারই কিছু না কিছু পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের তিনটি ফ্যান, ইলেকট্রিক বাল্ব পুড়ে গিয়েছে। হামিদুর রহমান বলেন, আমার বাড়ির তারে আগুন ধরে গিয়েছিল। সবই পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এলাকায় বিদ্যুতের তার দীর্ঘদিন পরিবর্তন না করার ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এলাকায় একটি ১০০ কেবির নতুন ট্রান্সফর্মার প্রয়োজন। তাছাড়া এলাকায় দু’ দু’টি মোবাইল টাওয়ার রয়েছে। বিদ্যুতের বেশিরভাগটাই সেই টাওয়ারে চলে যায়। মোবাইল টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ করতে হবে, তাদের জন্য আলাদা ট্রান্সফর্মার দেওয়া হোক। বিদ্যুৎ সাপ্লাই অফিসের এবিষয়ে হেলদোল নেই বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। যদিও সাগরদিঘি বিদ্যুৎ সাপ্লাই অফিসের এক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার বলেন, বিদ্যুতের কেবল থেকে অবৈধভাবে হুকিং করার ফলে হাই ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দেয়। আবার নিউট্রাল ফল্টের কারণেও হতে পারে। আসলে কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় একটি নতুন ট্রান্সফর্মার দেওয়া হবে। এলাকাবাসী ট্রান্সফর্মার বসানোর জন্য জমি দেখাতে পারলেন সমস্যা মিটে যাবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টির ব্যাপারে বলতে পারব না। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম আছে বলে আমার জানা নেই।