কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
দোমড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সামান্য দূরে পানাগড় মোড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর অবস্থিত গুদামটি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গুদামের বাইরে চালের আড়ত লেখা থাকলেও সেখানে মজুত রাখা হয়েছে বেসরকারি মদ কারখানার বর্জ্য। ফলে ব্যাপক দুর্গন্ধ এলাকাজুড়ে। তাছাড়া প্রায়ই আগুন লেগে যাচ্ছে গুদামে। ফলে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রহ্লাদ বাউরী, পল্লবী রুইদাসরা বলেন, বাইরে চালের গোডাউন লেখা আছে। কিন্তু এখন যা জিনিস রয়েছে তাতে দুর্গন্ধে আমরা থাকতে পারছি না। দুর্গন্ধের জন্য খাওয়া দাওয়া করতে ইচ্ছা হচ্ছে না। ঘুমও হয় না। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যাম রুইদাস, জয়ন্তী রুইদাস বলেন, কিছুদিন পরপর আগুন ধরছে। ফলে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গত মাসের ১৩ তারিখে আগুন লেগেছিল। সেই ধোঁয়া বেশ কয়েকটি পাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেকেরই শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সোমবার আবার আগুন লাগে। স্থানীয় লোকেশ বাউরী অনেকবার বলেও গুদাম খালি হয়নি। তাই ক্ষোভে রাস্তা অবরোধ করেছি। অবিলম্বে সমস্ত মাল এখান থেকে সরাতে হবে।
জানা গিয়েছে, আগে চালের গুদাম থাকলেও এখন মদ কারখানা লিজে ওই গুদাম ভাড়া নিয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য রাখছে। গুদামের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী বলেন, ভুট্টার ভুষি মদ কারখানা কর্তৃপক্ষ এখানে রাখছে। এদিন পানাগড় মোড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ফলে দুদিকেই গাড়ির দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। কাঁকসা থানার পুলিস স্থানীয়দের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ফায়ার বিগ্রেডের পক্ষে আধিকারিক সুদীপ্ত পাল বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ওই কোম্পানিকে বলা হচ্ছে কিন্তু তারপরেও গুদাম খালি হয়নি। আগেও আগুন লেগেছিল। দমকল এসে নিভিয়েছে। তবে আজকের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ওখানে অক্সিজেন নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করতে হচ্ছে। এদিন কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত গুদাম খালি করার আশ্বাস দেওয়া হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ এদিনের ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে এই বর্জ্য সরিয়ে ফেলতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।