কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
এব্যাপারে বাঁকুড়া জেলা শিল্পদপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার চন্দন সেন বলেন, আমাদের জেলায় ১৩ হাজার হস্তশিল্পী রয়েছেন। তাঁরা ইতিমধ্যে হস্তশিল্পীর কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। আমরা তা মঞ্জুর করে রাজ্যে পাঠিয়েছি। কার্ড আসার পর নতুন স্কিমে প্রত্যেকেই আবেদন করতে পারবেন।
বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের তন্ময় ঘোষ বলেন, ভাঁওতা নয়, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ভোটের আগে যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা পালন করেন। ভোটের আগে হস্তশিল্পীদের জন্য আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথা তিনি বলেছিলেন। ভোট মিটেছে। কিন্তু তিনি তা ভোলেননি। এবার তা কার্যকর করা হবে।
কারা পাবেন ওই সুবিধা? এব্যাপারে দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি কর্মকার, মৃৎশিল্পী, কাঠের মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, মালাকার, চর্মকার, ধোবি, নৌকার কারিগর, জাল তৈরির কারিগর, ঝাডু তৈরির কারিগর, মাটির পুতুল তৈরির কারিগর, মিউজিক্যাল সরঞ্জাম তৈরি, পুতুল, ঝুড়ি, তালা প্রস্তুতকারী, স্বর্ণকার, নাপিত ইত্যাদি পেশায় যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা ওই স্কিমে আবেদন করতে পারবেন। গ্রাম এবং শহর উভয় জায়গার শিল্পীরা সুবিধা পাবেন। প্রত্যেককে আর্টিজন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। ব্লকস্তরে বিডিও এবং শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে মহকুমা শাসককে স্ক্রিনিং কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মান্ধাতার আমলের সরঞ্জামের পরিবর্তে আধুনিক মানের টুল কিটস, অধিক কর্মসংস্থান এবং শিল্পীদের সময়োপযোগী মানোন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদপ্তর নতুন ওই স্কিম চালু করেছে। গোটা রাজ্যে ১ লক্ষ হস্তশিল্পী এবং ২০০ সমবায় ভিত্তিক হস্তশিল্পকে আর্থিকভাবে সহায়তা দেওয়ার লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য ২০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্য সরকার এব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে। ভোটের পরে তা কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে। জেলায় জেলায় ওই নির্দেশিকা পৌঁছেছে।
বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা অতনু কর্মকার বলেন, বংশ পরম্পরায় আমাদের কামারশাল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা হাতে করে লোহা পিটিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করি। এখন নতুন অনেক প্রযুক্তি বেরিয়েছে। তা কেনার জন্য রাজ্য সরকার আর্থিক সুবিধা দিলে আমাদের খুব সুবিধা হবে।